ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে (আইপিএল) আবারো শেষ ওভারের নাটকীয়তা। অথচ দিল্লীর দেওয়া ১৭৩ রানের লক্ষ্যে মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ব্যাটিং তাণ্ডবে ম্যাচটা প্রায় একপেশে ফলের দিকেই এগোচ্ছিল। তবে শেষ পর্যন্ত সহজ ম্যাচ কঠিন করে শেষ বলের রোমাঞ্চে দিল্লী ক্যাপিটালসকে ৬ উইকেটে হারালো মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।
টসে জিতে এ দিন প্রথমে ফিল্ডিংয়ের সিদ্ধান্ত নেন মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের অধিনায়ক রোহিত শর্মা। শুরুতে তেমন নিয়ন্ত্রিত বোলিং না করতে পারলেও দিল্লীর ইনিংসে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলে নিতে থাকেন মুম্বাইয়ের বোলাররা।
৩ চারে দিল্লীর হয়ে শুরুটা দারুণ করলেও ইনিংস বেশদূর নিয়ে যেতে পারেননি পৃথ্বী শ। হৃতিক শোকিনের বলে ১৫ রানেই ফিরে যান সাজঘরে। এরপর উইকেটে থিতু হয়েও ইনিংস বড় না করার ব্যর্থতায় পুড়েছেন মানিষ পান্ডে। এ ব্যাটার ফিরেছেন ২৬ রান করে।
পৃথ্বী শ, মানিষ পান্ডেকে হারানোর পর দিল্লীকে এক প্রান্ত আগলে রেখে এগিয়ে যান ডেভিড ওয়ার্নার। তবে এ ওপেনারের মন্থরতম ৫১ রানের ইনিংস দিনশেষে দলের চাপই বাড়িয়েছে। অবশ্য কচ্ছপ গতিতে এগিয়ে চলা দিল্লীর ইনিংসে একটু গতি এনে দেওয়ার কাজটা করেছেন অক্ষর প্যাটেল।
বাঁহাতি এ ব্যাটারের ৪ চার আর ৫ ছক্কায় ২৪ বলে ৫৪ রানের ইনিংসেই ১৭২ রানের লড়াই করার মতো সংগ্রহ পায় দিল্লী ক্যাপিটালস। মুম্বাইয়ের হয়ে ৩ টি করে উইকেট নেন জেসন বেহনড্রফ আর পিয়ুষ চাওলা।
১৭৩ রানের লক্ষ্যে শুরু থেকেই আগ্রাসী ব্যাটিং করতে থাকেন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনার রোহিত শর্মা আর ইষাণ কিশান। এ দুই ওপেনারের ঝড়ো শুরুতে ব্যাটিং পাওয়ার প্লে’র প্রথম ৬ ওভারেই ৬৮ রান তুলে ফেলে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস। এবারের আইপিএলে প্রথমবারের মতো খেলতে নেমে মুস্তাফিজুর রহমানও এ দিন মুম্বাইয়ের দুই ওপেনারের তাণ্ডবের শিকার হয়েছেন। প্রথম ওভারেই দেন ১৩ রান।
তবে দারুণ গতিতে জয়ের দিকে ছুটে চলা মুম্বাইকে পরবর্তীতে চ্যালেঞ্জ জানান সেই মুস্তাফিজই। প্রথম ওভারে ১৩ রান হজম করা পরের দুই ওভার মিলিয়ে দেন ১০ রান। এর মধ্যে আবার ৬৫ রানে ব্যাট করতে থাকা রোহিত শর্মার গুরুত্বপূর্ণ উইকেটটিও তিনি তুলে নেন। প্রায় হেরে যাওয়া ম্যাচ জমে ওঠে সেখানেই। অবশ্য তার আগের ওভারে টানা দুই বলে তিলক ভার্মা আর সুরিয়াকুমার যাদবকে ফিরিয়ে ম্যাচে প্রথম প্রতিরোধ গড়েছিলেন মুকেশ কুমার।
তবে জমে ওঠা ম্যাচটা দিনশেষে মুম্বাই ইন্ডিয়ানস নিজেদেরই করে নেয়। শেষ ২ ওভারে ২০ রানের রানে সমীকরণে ১৯ তম ওভারে এসে মুস্তাফিজ একাই ১৫ রান হজম করে ফেলেন। সে ওভারে টিম ডেভিড আর ক্যামেরুনের দুই ছক্কায় ম্যাচ থেকে প্রায় ছিটকে যায় দিল্লী ক্যাপিটালস।
যদিও শেষ ওভারে ৫ রানের সমীকরণে শেষ বল অবধি ম্যাচে চোখ রাখতে বাধ্য করেছিলেন পেসার এনরিখ নর্কিয়া। তবে তাতে দিল্লীর আর পরাজয় এড়াতে পারেনি। শেষ বলে ২ রান নিয়ে ম্যাচ জিতে নেয় মুম্বাই ইন্ডিয়ানস।