মিডল অর্ডারের ক্রাইসিস ম্যান ফখর

ধারাবাহিকতার অনন্য মূর্তি হয়ে উঠছেন ফখর জামান, সাম্প্রতিক সময়ে নিয়মিত রানের দেখা মিলছে তাঁর ব্যাটে। মিডল অর্ডারে বাকিরা লাগাতার ব্যর্থ হলেও তিনি একা হাতে সামলাচ্ছেন পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইনআপের মধ্যভাগ। ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দ্বিতীয় টি-টোয়েন্টিতেও একই চিত্র দেখা গিয়েছে, দলকে লড়াইয়ের ভিড় গড়ে দিয়েছিলেন এই ব্যাটার।

শুরু থেকে ওপেনার পরিচয়েই খেলেছিলেন তিনি, কিন্তু বাবর আজম ও মোহাম্মদ রিজওয়ানের ওপেনিং জুটি আর পরবর্তীতে সায়িম আইয়ুবের উত্থানের কারণে ব্যাটিং অর্ডারে অবনতি ঘটে তাঁর। সেটাই অবশ্য শাপে বর হয়ে এসেছে, অতীতের চেয়ে বেশি ভরসাযোগ্য এখন তিনি।

এদিন ইংল্যান্ডের বিপক্ষে ১৮৪ রানের বিশাল লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে যখন দিশেহারা দল, তখন মাত্র ২১ বলে ৪৫ রানের ঝড়ো ইনিংস খেলার মধ্য দিয়ে ম্যাচে রোমাঞ্চ ফিরিয়েছিলেন এই বাঁ-হাতি। শেষপর্যন্ত জিততে না পারলেও তাঁর এমন ব্যাটিংয়ের সুবাদেই বড় পরাজয় এড়াতে পেরেছে বাবরের দল।

ফখর যখন বাইশ গজে আসেন তখন ৩.৩ ওভারে দুই উইকেট হারিয়ে বসেছিল পাকিস্তান, রান কেবল ১৪! কিন্তু এই পরিস্থিতিতেও রক্ষণাত্মক অ্যাপ্রোচ বেছে নেননি তিনি বরং কাউন্টার অ্যাটাক করেছেন ইংলিশদের ওপর। রিচ টপলিকে টানা তিন চার হাঁকানোর পর জোফ্রা আর্চারের পরপর দুই বলে চার ও ছয় মেরেছিলেন।

এই তারকা যতক্ষণ ক্রিজে ছিলেন ততক্ষণ এগিয়েই ছিল সফরকারীরা। কিন্তু পাক অধিনায়ক আউট হওয়ার পর পরই বিদায় নিয়েছিলেন শাদাব খান আর আজম খান; ফলে আস্কিং রান রেট বেড়ে গিয়েছিল তর তর করে। সেই বাড়তি রান রেটের সঙ্গে পাল্লা দিতে গিয়ে উইকেট খুইয়ে বসেন তিনি। তাঁর বিদায়ের সঙ্গে সঙ্গে ম্যাচ থেকেও ছিটকে যায় দলটি।

২০১৭ সালের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ফখর জামানের অতিমানবীয় ইনিংস এখনো ভু্লতে পারেনি কেউই। তাঁর প্রতিভা কিংবা সামর্থ্য কোনটি নিয়েই প্রশ্ন নেই কারো মাঝে – সংশয় ছিল কেবল ধারাবাহিকতা নিয়ে। এখন সেই সমস্যা সমাধানের দিকেই মনোযোগী তিনি, সমর্থকদের খুশি তাই আকাশ ছুঁতে চলেছে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link