বাংলাদেশ দলে চলছে পালা পরিবর্তন। সেই পরিবর্তনের ছোয়া ছিল ওয়ানডে দলের প্রথম আনুষ্ঠানিক অনুশীলনে। নাজমুল হোসেন শান্তর ‘হঠাৎ’ বিদায়ের পর অনেকটা গুমোটা পরিস্থিতির মাঝেই নতুন সূর্যোদয় করল বাংলাদেশ দল।
অধিনায়ক হিসেবে মেহেদী হাসান মিরাজের প্রথম দিন। অনুশীলনে অবশ্য তিনি অধিনায়কত্ব করার তেমন সুযোগ পাননি। তবে, নিজের স্বভাবসুলভ বার্তাটা পৌঁছে দিতে পেরেছেন তিনি।
শামিম হোসেন পাটোয়ারির সাথে লম্বা সময় ধরে নেটের পাশে দাঁড়িয়ে কথা বললেন, সম্ভবত তাঁর রোলটা ওয়ানডে দলে কেমন চান সেটা স্পষ্ট করে দিলেন।
নাজমুল হোসেন শান্ত’র সাথে সেই যুব পর্যায় থেকে খেলেন মিরাজ। মিরাজের অধিনায়কত্বেই ২০১৬ সালের অনূর্ধ্ব ১৯ বিশ্বকাপ খেলেছেন শান্ত। সেই শান্তকে মিরাজ আবার জাতীয় দলে পেয়েছেন অধিনায়ক হিসেবে। ফলে, তাঁদের মধ্যে বোঝাপড়া দারুণ।
তাই, ব্যক্তিত্বের সংঘাত আসার সুযোগ তেমন একটা নেই। তবে, সংঘাত একটা আছে দলের মধ্যে। কারণ, ক্রিকেট অপারেশন্স কমিটির চেয়ারম্যান নাজমুল আবেদীন ফাহিম এখন দলের সাথেই কলম্বোতে আছেন।
তাঁর উপস্থিতি দলের ভেতরে নেতিবাচকতা ছড়ালেও অবাক হওয়ার কিছু নেই। বর্ষিয়ান এই ক্রিকেট সংগঠক সাম্প্রতিক সময়ে দেশের ক্রিকেটে তাঁর ভূমিকার জন্য আলোচনার চেয়ে সমালোচনার জন্মই দিয়েছেন বেশি।
বিশেষ করে, নাজমুল হোসেন শান্তকে যে প্রক্রিয়ায় ওয়ানডের অধিনায়কত্ব থেকে সরিয়ে ফেলা হয় সেটা ছিল বেশ দৃষ্টিকটু। সেই জের ধরে টেস্ট অধিনায়ক হিসেবেও সরে দাঁড়ান তিনি।
ফলে, দল মানসিক দিক থেকে কিছুটা নেতিবাচক অবস্থানেই। সেটা ভাঙতে পারেন কেবল মিরাজ, কিংবা মিরাজ ও শান্তর বোঝাপড়া, অথবা সামান্য একটা জয়। আর প্রেমাদাসার মাঠে একটা জয়ই বাংলাদেশের মানসিকতার অচলায়তন ভেঙে দিতে পারে। মিরাজের নতুন বাংলাদেশ কি সেটা পারবে?