মিরাজের ব্যাট করাতেই আনন্দ

ব্যাটিং করলেন ১০৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে। ইনিংসে ছিল দুটি ছক্কা ও আটটি চার। ৭৩ বলে ৭৭ রান করেন। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউটের শিকার না হলে দিব্যি আরেকটা সেঞ্চুরি পেয়েই যেতেন। না, আক্ষেপ নেই মিরাজের। দলের চাহিদা মেটাতেই আনন্দ তাঁর। এই আনন্দ যতদিন থাকবে ততদিনই আনন্দ থাকবে বাংলাদেশেরও।

একাদশে ওপেনার লাগবে? মেহেদী হাসান মিরাজ আছেন। চার নম্বরে ব্যাট করতে হবে? মিরাজ আছেন।

অধিনায়ক বা অলরাউন্ডার লাগবে? মিরাজ তো আছেনই। স্ট্রাইক নিয়ে সমস্যা? ওটা ঠিক করতে মিরাজ তো আছেনই।

হ্যা, মিরাজই যেন বাংলাদেশের সব সমস্যার সমাধান। কথাটা কি শোনা শোনা লাগছে? এক সময় সাকিব আল হাসানকে নিয়ে কথাটা বলা যেত, এখন বলা যাচ্ছে মিরাজকে নিয়েও। সত্যিই মিরাজ কালক্রমে সত্যিকারের অলরাউন্ডারই হয়ে উঠছেন।

নিয়মিত এখন মিরাজ ব্যাটিং করেন সাকিবের ছেড়ে দেওয়া জায়গাতেই। দলে তাঁর ভূমিকাটাও এখন সাকিবের মতই। তবে আধুনিক ওয়ানডের মেজাজ বুঝতে ব্যর্থ ছিল মিরাজের ব্যাট।

প্রথম ওয়ানডেতে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে খুব ধীরগতির এক হাফ সেঞ্চুরি করেন। একই দৃশ্য ছিল আফগানিস্তানের বিপক্ষেও। মিরাজের এই ব্যাটিং পর পর দুই সিরিজে দলকে হারায়।

এই দুর্নাম নিয়ে এগিয়ে যাওয়া পছন্দ হয়নি মিরাজের। গর্জে উঠেছে মিরাজের ব্যাট। সেন্ট কিটস অ্যান্ড নেভিসের ওয়ার্নার পার্কে ঝলসে উঠলেন, এক লহমায় জবাব দিলেন তাঁর দিকে ধেয়ে আসা সকল সমালোচনার।

ব্যাটিং করলেন ১০৫-এর বেশি স্ট্রাইক রেট নিয়ে। ইনিংসে ছিল দুটি ছক্কা ও আটটি চার। ৭৩ বলে ৭৭ রান করেন। দূর্ভাগ্যজনক ভাবে রান আউটের শিকার না হলে দিব্যি আরেকটা সেঞ্চুরি পেয়েই যেতেন। না, আক্ষেপ নেই মিরাজের। দলের চাহিদা মেটাতেই আনন্দ তাঁর। এই আনন্দ যতদিন থাকবে ততদিনই আনন্দ থাকবে বাংলাদেশেরও।

Share via
Copy link