নতুন কি চমক নিয়ে অপেক্ষায় আছে মিরপুরের উইকেট? সেটা জানতেই মাঠে নেমেই টনি হেমিংওয়ের কাছে ছুটে গেল বাংলাদেশ দল। আরও নির্দিষ্ট করে বললে সেই বহরে সবার আগে পৌঁছালেন কোচিং স্টাফ দলের দুই সদস্য – মুশতাক আহমেদ ও শন টেইট। স্পিন সহায়ক উইকেটই বরাবর মিরপুরের মাঠ উপহার দিয়ে আসছে।
এবার কি তার ব্যতিক্রম হবে? খুব বেশি পেস সহায়ক হওয়ার উপায় মিরপুরের নেই। কিন্তু, সেন্টার উইকেটটা বেশ সবুজ। ঘাস বসিয়েছেন হেমিংওয়ে। সেই আলাপচারিতায় যোগ দিলেন এবাদত হোসেন আর নাহিদ রানা।

মিরপুরে বাংলাদেশ দলের এক পেসার নিয়েই দিব্যি টেস্ট খেলেছে, জিতেছেও। এমনকি শুধু সৌম্য সরকারের মত পার্ট টাইম পেসার নিয়েও খেলার নজীর আছে। তবে, আয়ারল্যান্ডের বিপক্ষে ঢাকা টেস্টে থাকবেন একাধিক পেসার। হাসান মাহমুদ থাকছেন যথারীতি। নাহিদ রানার জায়গায় ফিরতে পারেন এবাদত হোসেন। তাই তো মাঠে নামার আগে উইকেট কেমন সেটা বুঝে নেওয়া তাঁর জন্য খুবই জরুরী।
দুই বছর বাদে গেল শ্রীলঙ্কা সফরে আবারও জাতীয় দলের জার্সিতে ফিরেছিলেন এবাদত হোসেন। এখনও আগের সেই ফর্ম না ফিরলেও, দ্রুতই সেই ছন্দটা ফেরত চাইবেন এবাদত। সেই ফেরার লক্ষ্যে উইকেটের সুবিধা তিনি আদৌ পাবেন না কি – সেটা অবশ্য আগাম বলা যাচ্ছে না।

হেমন্তের সকালে মিরপুরে আদলটা এবার অন্যরকম। মুশফিকুর রহিমের শততম টেস্ট বলে কথা। টনি হেমিংওয়ে তাই মাঠে ও গ্যালারির সৌন্দর্য্য বর্ধনে অনেকদিন ধরেই কাজ করছে। তবে, মিরপুরের উইকেটের যে দূর্নাম সেটা হয়া সহসাই মুছে ফেলা যাবে না। তবে, উইকেটের সবুজাভ চেহারা বলছে – চেষ্টা করলে এখান থেকে পেসাররাও মুখে হাসি নিয়ে ফিরতে পারবেন।










