চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির স্কোয়াডেও ছিলেন জাসপ্রিত বুমরাহ, কিন্তু ফিট হয়ে উঠতে পারেননি। তাঁকে বাদ দিয়েই শিরোপা জিতে এসেছে ভারত। এবার মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সকেও খেলতে হবে তাঁর অনুপস্থিতিতে, পুরো টুর্নামেন্ট না তবে শুরুর দিকে উল্লেখযোগ্য একটা সময় বেঞ্চে বসেই কাটাবেন তিনি।
সেক্ষেত্রে প্রশ্ন, বুমরাহর অনুপস্থিতিতে মুম্বাইয়ের বোলিং লাইনআপ কেমন হবে? কে হবেন দলটার স্ট্রাইক বোলার।
- নতুন বলে দীপক চাহার, ট্রেন্ট বোল্ট
দীপক চাহার এবং ট্রেন্ট বোল্ট দু’জনেই আইপিএলের পরিচিত মুখ; নতুন বলে তাঁদের সাফল্যের কথাও জানা আছে সবার। দুই দিকেই বল সুইং করাতে পারেন বোল্ট, নিজের দিনে যেকোনো টপ অর্ডারকে গুঁড়িয়ে দিতে পারেন। আবার মুম্বাইয়ের জার্সিতে খেলার অভিজ্ঞতাও আছে তাঁর। অন্যদিকে দীপক চাহার তো এখন পর্যন্ত পাওয়ার প্লেতে ৫৮ উইকেট নিয়েছেন, আর এসময় তাঁর ডট বলের হার প্রায় ৫২ শতাংশ।
বলাই যায়, টিম ম্যানেজম্যান্ট এ জুটির কাছ থেকে সর্বোচ্চ প্রত্যাশা করে আছে। প্রতিপক্ষ যে-ই হোক; গতি, সিম মুভমেন্ট আর সুইংয়ের ঝড় সামলানোর জন্য অবশ্যই প্রস্তুত থাকতে হবে।
- হার্দিক পান্ডিয়া, সত্যনারায়ণ পেনমেতসারের মত বাড়তি পেস অপশন
কোন সন্দেহ ছাড়াই অধিনায়ক হার্দিক পান্ডিয়া মুম্বাইয়ের তৃতীয় পেসার। পাওয়ার প্লে, মিডল ওভার কিংবা ডেথ তাঁর সামর্থ্য আছে ম্যাচের যেকোনো পরিস্থিতিতে নিজের সেরাটা দেয়ার। হিট দ্য ডেক, কাটার, স্লোয়ারের মত অস্ত্রে বেশ সমৃদ্ধ বোলার বলা যায় তাঁকে।
অন্যদিকে চমক হতে পারেন সত্যনারায়ণ পেনমেতসার। কর্বিন বস্ক স্কোয়াডে থাকলেও কম্বিনেশনের তাঁর একাদশে জায়গা পাওয়া কঠিন হবে। সেজন্য ইম্প্যাক্ট প্লেয়ার হিসেবে কপাল খুলতে পারে তরুণ ভারতীয় ক্রিকেটারের। অন্ধ্র প্রিমিয়ার লিগ দিয়ে নজর কাড়া এই ডানহাতির মাঝে কিন্তু প্রতিভার কমতি নেই।
- মিচেল সান্টনার, কর্ণ শর্মার স্পিন ফাঁদ
প্রতিপক্ষের মিডল অর্ডারের জন্য হুমকি মিচেল সান্টনার, পরিসংখ্যান বলছে ম্যাচের এমন পরিস্থিতিতে তাঁর বোলিং গড় ২৫ এরও কম আর স্ট্রাইক রেট ২০! অর্থাৎ এ সময়টাতে উইকেট নেয়ার জন্য তিনি সেরা অপশন। তাছাড়া রান আটকানোর ক্ষেত্রেও তাঁর বোলিং দারুণ কার্যকর। চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে এই বাঁ-হাতির পারফরম্যান্স বাড়তি আত্মবিশ্বাস জোগাবে মুম্বাইয়ের ড্রেসিংরুমে।
এদিকে কিউই তারকার অফ স্পিনকে পূর্ণতা দিবে কর্ণ শর্মার লেগ স্পিন। উইকেট টেকিং বোলার বলা যায় তাঁকে, একপ্রান্ত থেকে সান্টনার চাপ তৈরি করলে অন্যপ্রান্ত থেকে তিনি সহজেই উইকেট তুলে নিতে পারবেন।
এছাড়া অলরাউন্ডার হিসেবে উইল জ্যাকস আছেন, নামান ধীর আছেন। অধিনায়ক হার্দিক চাইলে তাঁদের হাতে বল তুলে দিতে পারেন সময়ে সময়ে।