মার্শের ব্যাট যেন বিপ্লবী কবিতা!

বৃষ্টি যেন ভিজিয়ে দিয়েছিল মঞ্চ, তবু আগুন ঝরল মিচেল মার্শ নামের একক সেনানীর ব্যাট থেকে! এক প্রান্তে উইকেটের পতন, তবুও অন্য প্রান্তে তাণ্ডব চালালেন। তাঁর মহাকাব্যিক শতকে নিউজিল্যান্ডকে চুরমার করে চ্যাপেল–হ্যাডলি সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।

বৃষ্টি যেন ভিজিয়ে দিয়েছিল মঞ্চ, তবু আগুন ঝরল মিচেল মার্শ নামের একক সেনানীর ব্যাট থেকে! এক প্রান্তে উইকেটের পতন, তবুও অন্য প্রান্তে তাণ্ডব চালালেন। তাঁর মহাকাব্যিক শতকে নিউজিল্যান্ডকে চুরমার করে চ্যাপেল–হ্যাডলি সিরিজ জিতে নিল অস্ট্রেলিয়া।

ম্যাচের শুরুতেই বৃষ্টির হানা, ম্যাচও শুরু হলো দেরিতে। টসে জিতে বোলিং নেন অধিনায়ক মিচেল মার্শ। শুরুতেই কিউই টপ অর্ডারে হ্যাজেলউডের হানা, কনওয়ে ফিরলেন শূন্য রানে। তারপর বৃষ্টি ফের টেনে আনল ৩৫ মিনিটের বিরতি।

খেলা শুরু হতে না হতেই নিউজিল্যান্ড যেন প্রতিঘাত শুরু করল। তবে অস্ট্রেলিয়া জবাবটা দিল আরও ভয়ঙ্করভাবে। পাওয়ারপ্লে শেষে স্কোরবোর্ডে তিন উইকেট হারিয়ে ৪৩ রান। টিম সেইফার্ট কিছুটা প্রতিরোধ গড়লেও ৪৮ রানে থেমে গেলেন। এরপর ব্রেসওয়েল ও নিশামের লড়াকু চেষ্টায় নিউজিল্যান্ডের সংগ্রহ দাঁড়ায় ১৫৬ রান।

এরপরই যেন মার্শের মাস্তানি শুরু হলো বাইশ গজে। বল হাতে নিশামের ঝড়ে যখন সতীর্থরা এক প্রান্তে আসা–যাওয়ার মিছিলে ব্যস্ত, অন্য প্রান্তে চার–ছক্কার মূর্ছনায় স্টেডিয়াম মাতিয়ে রাখলেন মার্শ।

অজিদের মিডল অর্ডার নিজের চোখের সামনে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হতে দেখলেন মার্শ। তবে তিনি যেন ভিন্ন গল্পের মানুষ। সময়ের স্রোতে তাঁর ব্যাট যেন এক বিপ্লবী কবিতা, একা তবু অদম্য।

মাত্র ৫০ বলে তুলে নিলেন সেঞ্চুরি। আন্তর্জাতিক টি–টোয়েন্টিতে প্রথমবারের মতো শতক ছুঁলেন। শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত উইকেটে থাকলেন, দলকে জেতালেন তিন উইকেট হাতে রেখেই। সেই সঙ্গে সিরিজ বাগিয়ে নিলেন কিউইদের কাছ থেকে।

মার্শের এই অতিমানবীয় ইনিংস মনে রাখার মতো, চোখে লেগে থাকার মতো। দেয়ালে পিঠ ঠেকে গেলে কিভাবে প্রতিউত্তর দিতে হয়, তার এক উদাহরণ হয়ে থাকলেন এই অজি অধিনায়ক।

লেখক পরিচিতি

প্রত্যয় হক কাব্য

স্বপ্ন লেখার কি-বোর্ড

Share via
Copy link