‘ইউ আর কামিং ঠু স্লো টু মী’ – পার্থ টেস্টে মিচেল স্টার্ককে এভাবেই স্লেজিং করেছিলেন যশস্বী জয়সওয়াল। জবাবটা তখন দিতে পারেননি স্টার্ক, কিন্তু সুদে আসলে ঠিকই শোধ তুললেন পরের টেস্টে। একাই গুঁড়িয়ে দিলেন ভারতীয় দম্ভ, সেই পুরনো দিনের মতন আগুন ছুড়লেন ব্যাটারদের দিকে।
শুরুটাই করেছিলেন জয়সওয়ালকে দিয়েই, একেবারে প্রথম বলটাই এই পেসার করেছিলেন নিজের সব জেদ একসাথে করে, আর বলটা সরাসরি আঘাত হানে প্যাডে। ফলাফল, এলবিডব্লু। তখন তিনি বোধহয় মনে মনে যশস্বীকে জিজ্ঞেস করেছিলেন, আসলেই আমার বল স্লো?
খানিক বিরতি দিয়ে এই বাঁ-হাতি আবারো স্কোরবোর্ডে নাম তোলেন, উইকেটে সেট হয়ে যাওয়া লোকেশ রাহুলকে বাধ্য করেন গালিতে ক্যাচ দিতে। তবে তিনি সবচেয়ে বড় আঘাতটা হেনেছেন এরপরের ওভারে, অ্যাডিলেড কিং বিরাট কোহলিকে স্লিপে বন্দি করেন। উল্লাসে ফেটে পড়ে পুরো অস্ট্রেলিয়া, তাঁকে ঘিরে তৈরি উন্মাদনার পারদ উপরে উঠে তর তর করে।
একের পর এক চার হাঁকিয়ে রবিচন্দন অশ্বিন যখন রান বাড়ানোর চেষ্টায় মত্ত তখন শিকারী রূপে পুনরায় প্রত্যাবর্তন ঘটে স্টার্কের। চিরচেনা ইনসুইং ইয়র্কার, ব্যাট নামিয়ে আনার আগেই এলবিডব্লু অশ্বিন, বল এতটা কার্ল করবে সেটা বোধহয় কল্পনাতেও ভাবেননি তিনি।
পরেরটুকু একেবারে সহজ ছিল অজি তারকার জন্য। একটা বাউন্সারের পর ইয়র্কার, হার্শিত রানা তাতেই পরাস্ত। আর সবশেষে নিতীশ রেড্ডিকে আউট করে ইনিংসের সমাপ্তি নিজের হাতে টেনে দেন তিনি। টেস্ট ক্যারিয়ারে ৪০০ উইকেটের আরো দ্বারপ্রান্তে পৌঁছে গেলেন তিনি।
ইনিংসের প্রথম বলে উইকেট আবার শেষ বলে উইকেট – ব্যাপারটা মিচেল স্টার্কের সাথেই মানায়। গোলাপী বল হাতে পেলেই তিনি রুদ্রমূর্তি ধারণ করবেন সেটা প্রত্যাশিতই ছিল, সেই প্রত্যাশিত ঝড়েই উড়ে গেলো ভারত। এখন অপেক্ষা কেবল দ্বিতীয় ইনিংসের, তখন কি ভারত জবাব দিতে পারবে নাকি আরো একবার স্টার্ক নামক আতঙ্ক গ্রাস করবে তাঁদের।