ডোয়াইন ব্রাভোকে আশরাফুলের চ্যালেঞ্জ!

বাংলাদেশ ক্রিকেটের প্রথম বড় সুপার স্টার কে? অনেকেই এই প্রশ্নের জবাবে আজও উত্তরে বলেন একটাই নাম – মোহাম্মদ আশরাফুল। সত্যিই তাই, ব্যাটার হিসেবে অধারাবাহিক হলেও নিজের দিনে অনন্য ছিলেন আশরাফুল। ম্যাচ জিততে বাংলাদেশের আশারফুল হয়ে উঠেছিলেন তিনি।

অস্ট্রেলিয়া, ওয়েস্ট ইন্ডিজ কিংবা দক্ষিণ আফ্রিকার মত পরাশক্তির বিপক্ষে এই আশরাফুলের কল্যানেই প্রথম জয় পেয়েছিল বাংলাদেশ দল। তবে, ধারাবাহিক ছিলেন না বলে আলোচনার পাশাপাশি তাঁকে নিয়ে সমালোচনাও হত বিস্তর।

বাংলাদেশ ক্রিকেটের সবচেয়ে বড় বিজ্ঞাপন হয়ে ওঠার সামর্থ্য ছিল মোহাম্মদ আশরাফুলের মধ্যে। সাবেক এই বাংলাদেশি অধিনায়ক ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগেও (আইপিএল) খেলেছেন। মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স দলে ছিলেন আশরাফুল। দলে তখন শচীন টেন্ডুলকার কিংবা সনাথ জয়াসুরিয়ার মত রথী-মহারথীরা আছেন। নিতান্ত অগুরুত্বপূর্ণ এক ম্যাচে দিল্লী ডেয়ারডেভিলসের বিপক্ষে আশরাফুল জায়গা পান একাদশে। ১০ বল খেলে করেন মোটে দুই রান।

এরপর আর কখনোই তাঁকে দেখা যায়নি আইপিএলে। তবে আইপিএল খেলতে গিয়েই সখ্যতা গড়ে উঠেছিল ক্যারিবিয়ান তারকা ডোয়াইন ব্রাভোর সাথে। আর শুধু সখ্যতাই নয়, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পেস বোলিং অলরাউন্ডার ব্রাভোর বোলিংয়ের রহস্যটাও নাকি বেশ ভালই ধরে ফেলেছিলেন আশরাফুল।

ডেথ ওভারের বোলিংয়ের জন্য ডোয়াইন ব্রাভো বেশ খ্যাতিমান। যদিও, অন্তিম মুহূর্তে ব্যাটিংয়ের জন্য প্রতিপক্ষ হিসেবে এই ব্রাভোকেই পছন্দ আশরাফুলের। এমনকি চাইলে নাকি তিনি ব্রাভোকে ইনিংসের শেষ বলে বাউন্ডারিও হাঁকাতে পারবেন। খেলা ৭১-এর বিশেষ আয়োজন ‘ছেলেখেলা লাইভ’-এ এসে তেমনটাই দাবি করেন আশরাফুল।

কারণ কি? কেন ব্রাভোর বিপক্ষে এত আত্মবিশ্বাসী আশরাফুল? রহস্যটা কি? আশরাফুল জবাবে বলেন, ‘ডিজে ব্রাভোর বিপক্ষে আমি ছক্কা মারার ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী। আমি মনে করি ওর বোলিং আমি বুঝি। ওকে আমি অন্য যে কারো থেকে ভাল রিড করতে পারি।’

বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগে (বিপিএল) স্পট ফিক্সিংয়ের অভিযোগ নিয়ে ২০১৩ সালে তিনি পাঁচ বছরের জন্য নিষিদ্ধ হন। ফলে আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ারটা তাঁর কার্যত শেষই হয়ে যায়। যদিও, নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে বাংলাদেশের ঘরোয়া ক্রিকেটে ফিরেছেন তিনি। জাতীয় লিগ কিংবা বাংলাদেশ প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ – সব জায়গাতেই দেখা যায় আশরাফুলকে।

সেখানে টুকটাক ঝলক দেখিয়ে প্রায়ই হারানো দিনের স্মৃতি ফিরিয়ে আনেন তিনি। যদিও, সেটা কখনোই জাতীয় দলে ফেরার মত যথেষ্ট হয়নি। তবে, আশরাফুল নিজে বারবারই বলেন আর একটি দিনের জন্য, একটা ম্যাচের জন্য হলেও জাতীয় দলের হয়ে খেলতে চান তিনি।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link