এশিয়া কাপ শেষ হয়ে গেলেও কাটেনি তার রেশ। এখনও বিজয়ী দল ভারতের হাতে ওঠেনি চ্যাম্পিয়ন ট্রফি। তবে ফাইনালের রাতে ট্রফি এবং মেডেল নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়ায় ক্ষমা চেয়েছেন এশিয়ান ক্রিকেট কাউন্সিলের (এসিসি) সভাপতি মহসিন নাকভি। যদিও অনড় রয়েছেন নিজের শর্তে—দুবাইয়ে এসিসির অফিসে গিয়েই সুরিয়াকুমার যাদবকে ট্রফি নিতে হবে।
এশিয়া কাপ শেষ হওয়ার পর থেকে নাকভি এবং ভারতের মধ্যে যেন নীরব এক যুদ্ধ চলছে। ফাইনালের রাতে নাকভির হাত থেকে ট্রফি নিতে ভারত অস্বীকৃতি জানালে, তিনি ট্রফি নিয়ে চলে যান নিজের সঙ্গে। এরপর ভারত তা ফেরত চাইলেও তিনি দেননি। তার দাবি, দুবাইয়ের অফিস থেকে খোদ ভারতীয় অধিনায়ককেই তা সংগ্রহ করতে হবে। আর ভারতও অনড়—তারা এভাবে নিতে যাবে না।
তাই তো ট্রফি-কাণ্ড নিয়ে অচলাবস্থা এখনও বিরাজমান। তবে ইন্ডিয়া টুডের প্রতিবেদনে উঠে এসেছে ভিন্ন ঘটনা। ৩০ সেপ্টেম্বর হওয়া এসিসির বৈঠকে নাকভি নিজের সুর নরম করেছেন। নিজের অযাচিত কর্মকাণ্ডের জন্য ক্ষমা চেয়েছেন। তবে নিজের অবস্থান থেকে এখনও সরে আসেননি।

ভারতও অবশ্য নিজেদের অবস্থান ভাঙেনি। তাদের মতে, ফাইনালের রাতে এমন কোনো নিয়মের কথা বলা হয়নি যে দুবাইয়ে গিয়ে ট্রফি তুলতে হবে। কোনো ব্যক্তিগত নির্দেশে নয়, তাদের দাবি—ট্রফি হস্তান্তর হবে এসিসির নিয়ম মেনে।
এ নিয়ে বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়ার (বিসিসিআই) সহসভাপতি রাজীব শুক্লা স্পষ্টভাবে বলেন, ‘এই ট্রফি এসিসির সম্পত্তি, কোনো ব্যক্তির নয়। যথাযথ প্রটোকল ছাড়াই ট্রফি ও মেডেল নিজের সঙ্গে নিয়ে যাওয়া অত্যন্ত অনুচিত আচরণ। ভারতের বার্তা স্পষ্ট—ক্ষমা গ্রহণ করা হয়েছে, কিন্তু ট্রফি ফেরত দিতে হবে নিয়ম অনুযায়ী।’
এর আগে বিসিসিআই সচিব দেবজিত সাইকিয়া প্রকাশ্যে বলেন, ‘আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি এসিসি চেয়ারম্যানের কাছ থেকে ট্রফি গ্রহণ করব না, যিনি পাকিস্তানের একজন শীর্ষ নেতা। এটা ছিল সচেতন সিদ্ধান্ত। তা তাকে ট্রফি বা মেডেল নিজের কাছে রাখার অধিকার দেয় না। এমন আচরণ অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা আশা করি ট্রফি ও মেডেল দ্রুত ভারতের কাছে ফিরিয়ে দেওয়া হবে।’

এক প্রান্তে নাকভি, অন্য প্রান্তে ভারত। আর মাঝখানে এক শীতল টানাপোড়েন। সব মিলিয়ে ক্রিকেটের বাইরে এক গুমোট আবহাওয়া দেখা যাচ্ছে। এখন অপেক্ষা কেবল একটা সহজ সমাধানের।











