মুমিনুল ফিরলেও তৃপ্তি ফেরেনি

টানা দুই ইনিংসে মুমিনুল হকের ব্যাটে ফিফটি। ফর্মে ফেরার আনন্দ কিন্তু তবুও নেই স্বস্তি।

টানা দুই ইনিংসে মুমিনুল হকের ব্যাটে ফিফটি। ফর্মে ফেরার আনন্দ কিন্তু তবুও নেই স্বস্তি। দৃঢ়তার প্রতিফলন তিনি আরও একটিবার ঘটালেন বটে। কোথাও একটা অতৃপ্তির জমাট বাঁধা দুঃখ আটকে রয়েছে।

সিলেট টেস্টে টাইগারদের প্রথম ইনিংসে ৮০ রান করেছিলেন মুমিনুল হক। ধারণা ছিল তিনি হয়ত আরও একবার ছুঁয়েই ফেলবেন তিন অংকের ম্যাজিকাল ফিগার। কিন্তু তেমনটি আর ঘটেনি। এরপর তিনি আবারও মিরপুরে নামলেন ব্যাট হাতে। এদফা চাপটা খানিক বেশিই ছিল।

দুই ওপেনারের প্রস্থান, সাথে আট রানের ব্যবধানে অধিনায়ক নাজমুল হোসেন শান্তও ফিরে গেছেন প্যাভিলিয়নে। এমন পরিস্থিতিতে মাথা ঠান্ডা রেখে, দায়িত্বশীল ব্যাটিং করাই ছিল মুমিনুলের কাছ থেকে প্রত্যাশিত। এদফাও তিনি নিরাশ করেননি। শততম টেস্ট খেলতে নামা মুশফিকুর রহিমের সাথে গড়ে ফেলেন এক দারুণ জুটি।

মুশফিক ও মুমিনুল, বাংলাদেশের দুই আস্থার স্তম্ভ- তাদের জুটি থেকে বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে যুক্ত হয় ১০৭ রান। দলীয় ২০২ রানের মাথায় আউট হন মুমিনুল হক সৌরভ। ততক্ষণে পঞ্চাশ রানের গণ্ডি তিনি পেরিয়ে গেছেন। ব্যক্তিগত রান তার ৬৩। ১২৮টি বল খেলে তিনি আউট হয়েছেন। একটু ধীরলয়েই খেলে যাচ্ছিলেন বটে। তাতে অবশ্য ধারণা তৈরি হয়েছিল, শতকের সংখ্যাটা ১৪তে নিয়ে যাবেন মুমিনুল।

কিন্তু তেমনটি আর হয়। ‘আনলাকি থার্টিন’ তাকে আটকে রেখেছে। কিন্তু মুমিনুলের তো এই ৬৩-তেই থেমে থাকার কথা নয়। মুমিনুলের ফর্ম মানেই তো শতক ছাড়ানো সংগ্রহ। ১৫০ কিংবা ১৬০ রানের কাছাকাছি কোথাও গিয়ে তিনি থামবেন। এমন মুমিনুলের প্রতিচ্ছবিই তো ভেসে ওঠে আবছা চোখে।

এখানেই বরং সেই অতৃপ্তির জায়গাটা। বাংলাদেশের টেস্ট ক্রিকেটের প্রেক্ষাপটে মুমিনুল ভীষণ আস্থাভাজন। তার ব্যাট থেকে বড় রানের প্রত্যাশা থাকে প্রতিনিয়ত। রানের খরা কাটিয়ে উঠতে পেরেছেন বটে। কিন্তু বড় রানের চাহিদা এখনো মেটাতে পারছেন না। তবে কি তার সেঞ্চুরির সংখ্যা ১৩তেই চিরতরে যাবে থমকে!

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link