টি-টোয়েন্টির ব্যাটিংও করতে জানেন মুমিনুল

ক্যারিয়ারে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া মুমিনুল সবসময়ই সুযোগ খুঁজেছেন নিজের সামর্থ্য প্রমাণে। সাদা বলেও যে তিনি কার্যকর সব ইনিংস খেলতে পারেন, সে প্রমাণ রাখলেন এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে। 

মুমিনুল হকের গায়ের লেপ্টে আছে টেস্ট ক্রিকেটারের তকমা। ক্যারিয়ারে দীর্ঘ পথ পাড়ি দেওয়া মুমিনুল সবসময়ই সুযোগ খুঁজেছেন নিজের সামর্থ্য প্রমাণে। সাদা বলেও যে তিনি কার্যকর সব ইনিংস খেলতে পারেন, সে প্রমাণ রাখলেন এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে।

চট্টগ্রাম বিভাগের ওপেনিং পজিশনে নেই তামিম ইকবাল খান। চার ম্যাচ খেলে এনসিএল থেকে বিদায় নিয়েছে বা-হাতি এই ওপেনার। তার বদলে ওপেনিংয়ে চলে এলেন মুমিনুল হক। এসেই করলেন বাজিমাত। ছক্কা হাঁকিয়ে নিজের ইনিংসের শুরু করেন তিনি। মিড উইকেট অঞ্চল দিয়ে বেশ বড়সড় ছক্কাই হাঁকান তিনি।

তাতেই অন্তত ধারণা পাওয়া গিয়েছিল, এদিন মুমিনুল ঝড় তুলতে চলেছেন। শেষ অবধি হয়েছে তাই। ১৪৪ এর একটু বেশি স্ট্রাইকরেটে রানের ঝড় তুলেছেন মুমিনুল। এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে ব্যক্তিগত প্রথম হাফসেঞ্চুরি তুলে নেন তিনি।

৩৬ বলে ৫২ রান এসেছে মুমিনুলের ব্যাট থেকে। নিজের এই অর্ধশতক ছাড়ানো ইনিংসে তিনটি বিশাল ছক্কা হাঁকিয়েছেন মুমিনুল। অথচ সকলের ধারণা ছোট গঢ়নের মুমিনুল ছক্কা হাঁকাতে জানেন না। ছক্কার পাশাপাশি পাঁচটি চার মেরেছেন মুমিনুল। তার এমন অভাবনীয় ব্যাটিংয়ের কল্যাণে চট্টগ্রামের শুরুটাও হয়েছে দারুণ।

১০ ওভার শেষে ১০০ রানের গণ্ডি পেরিয়ে যায় চট্টগ্রাম বিভাগ। যদিও পরবর্তীতে রাজশাহী বিভাগের বোলাররা নিজেদেরকে সামলে নেয়। নিয়মিত বিরতিতে চট্টগ্রামের উইকেট নিতে শুরু করে তারা। তবে মুমিনুল অবশ্য আউট হয়েছেন পার্টটাইম বোলারের বলে।

নাজমুল হোসেন শান্তর বলে ক্যাচ আউট হয়ে সাজঘরে ফেরেন মুমিনুল। মুমিনুলের অসাধারণ ইনিংসের প্রতিউত্তর হিসেবে শান্তও বুদ্ধিদীপ্ত বোলিং করেছেন। মুমিনুলকে লেগ সাইডে সুইপ করতে বাধ্য করেছেন। আর তেমনই এক শট খেলতে গিয়ে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়েছেন মুমিনুল।

তবে বা-হাতি এই ব্যাটার একটা বার্তা দিলেন আরও একটিবার। শুধু সুযোগের অভাবে তিনি সংক্ষিপ্ততম ফরম্যাটে নিজেকে থিতু করতে পারেননি। তার উপর একটুখানি আস্থা করলেই হয়ত দৃশ্যপট ভিন্ন হলেও হতে পারত।

Share via
Copy link