ক্রাইস্টচার্চে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্টে ফলোঅনে পড়ে ইনিংস ব্যবধানে হেরেছে বাংলাদেশ। প্রথম টেস্টে দাপুটে জয়ের পর দ্বিতীয় টেস্টে নিউজিল্যান্ডের সামনে অসহায় আত্মসমর্পণ করেছে বাংলাদেশ। মাত্র তিনদিনেই কুপোকাত সফরকারীরা। এমন বাজে হারের পরেও অবশ্য বাংলাদেশ অধিনায়ক মুমিনুল হক জানিয়েছেন আশার বানী।
মুমিনুলের বিশ্বাস ধীরে ধীরে এই দল আরো ভালো করবে। অন্য দুই ফরম্যাটের চেয়ে টেস্টে বাংলাদেশ দল এমনিতেই বেশ পিছিয়ে। বাংলাদেশ দলের খারাপ সময়ে নিউজিল্যান্ডের মাটিতে নিউজিল্যান্ডকে টেস্ট হারানোটা বেশ ইতিবাচক ভাবেই নিচ্ছেন মুমিনুল।
ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে মুমিনুল বলেন, ‘আমাদের টেস্ট দল নিয়ে তো কাজের অনেক বাকি আছে। উন্নতির তো অনেক কিছুই বাকি আছে, অনেক কিছু করা যাবে। আপনারা জানেন, আমি খুব কঠিন সময়ে নেতৃত্ব পেয়েছিলাম। তখন তো আমি স্বপ্ন দেখতাম বড় দলের বিপক্ষে ম্যাচ জেতার। মানুষের বিশ্বাসটা তো আসে চোখে দেখার (করে দেখানোর) জন্য। আমার মনে হয়, প্রথম টেস্ট জেতা খুবই দরকার ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘এখন আমি ও দলের সবাই এখন বিশ্বাস করতে পারছি, আমাদের সামর্থ্য আছে। বিদেশে গিয়ে টেস্ট ম্যাচ জেতা যায়। এখন একটা টেস্ট জিতলাম, পরে আরেকটা টেস্ট জিতব, এভাবে এক সময় আমরা সিরিজ জিতব। তো ওই বিশ্বাসটা মনে হয়, সবার ভেতরে আনা খুব গুরুত্বপূর্ণ ছিল। প্রথম টেস্ট জেতাতে মনে হয় ওই বিশ্বাসটা সবার ভেতরে এসেছে’
প্রথম টেস্টের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সে ইতিবাচক ব্যাপারগুলো দলের জন্য বড় প্রাপ্তি মনে করেন বাংলাদেশের টেস্ট অধিনায়ক। একই সাথে দ্বিতীয় টেস্টে অধিনায়ক ও সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে নিজের ইনিংস নিয়েও আক্ষেপের বাণী শোনান মুমিনুল।
মুমিনুল বলেন, ‘ইতিবাচক তো অনেক কিছুই আছে। প্রথম টেস্ট যদি দেখেন, আমি সব সময় সংবাদ সম্মেলনে বলি, আমাদের দলীয় ফল তখনই ভালো হয়, যখন আমরা সম্মিলিতভাবে ভালো খেলি। সেটা ব্যাটিং, বোলিং ও ফিল্ডিং যাই বলেন। আমার মনে হয়, এটা একটা ইতিবাচক ব্যাপার ছিল।’
তিনি আরো বলেন, ‘দ্বিতীয় টেস্টে প্রথম ইনিংসে আমার মনে হয়, আমরা খুব বাজে ব্যাটিং করেছি। আমরা যতটা আশা করেছিলাম, বোলিংটাও তেমন করতে পারিনি। এরপরও প্রথম ইনিংসে ভালো (ব্যক্তিগত) ইনিংস ছিল। রাব্বির ফিফটি ছিল, সোহান ৪১ এর মতো করেছে। আমার মনে হয়, সিনিয়র খেলোয়াড় হিসেবে, অধিনায়ক হিসেবে আমার আরও ভালো করা উচিত ছিল। দ্বিতীয় ইনিংসে লিটনের সেঞ্চুরি অসাধারণ একটা ইনিংস। সোহানও খুব ভালো করছিল।’