পরপর দুই উইকেট পেয়েছেন অক্ষর প্যাটেল, হ্যাটট্রিক ডেলিভারির আগে তাই স্লিপ কর্ডনে একাধিক ফিল্ডার নিয়ে আসেন তিনি। জাকের আলী ক্যাচও দিয়ে বসেছিলেন স্লিপে, কিন্তু রোহিত শর্মা সেটা লুফে নিতে নিতেও নিতে পারলেন না। অবশ্য সাম্প্রতিক বছরগুলোতে ক্যাচ মিস রোহিতের খেলার অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে।
২০২৩ সালের পর থেকে বিশটার বেশি সুযোগ পেয়েছেন ২৬ জন ক্রিকেটার। এর মধ্যে যাদের ক্যাচ মিসের হার সবচেয়ে বেশি তাঁদের তালিকার দিকে তাকালেই হিটম্যানের ব্যাপারটা স্পষ্ট হয়।
- রোহিত শর্মা (ভারত)
গত দুই বছরের বেশি সময়ে সবমিলিয়ে ২২ বার ক্যাচ এসেছিল এই তারকার কাছে। এর মধ্যে মাত্র ১২ বার সুযোগ তালুবন্দি করতে পেরেছেন তিনি, বাদ বাকি দশবারই জীবন দিয়েছেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারকে। শতাংশ হিসেবে তাঁর ক্যাচিং দক্ষতা প্রায় ৫৫ ভাগ, দলের গুরুত্বপূর্ণ একজন ক্রিকেটারের কাছ থেকে এমনটা কেউই আসলে আশা করে না।
- ব্রেন্ডন কিং (ওয়েস্ট ইন্ডিজ)
রোহিত শর্মার পরেই সর্বোচ্চ ক্যাচ মিসের রেকর্ড নিজের করে রেখেছেন ওয়েস্ট ইন্ডিজের ব্রেন্ডন কিং। ভারতীয় কাপ্তানের সমান ২২টা ক্যাচ ধরার সুযোগ ছিল তাঁর কাছে, এর মধ্যে মাত্র ১৪টা ধরতে পেরেছেন তিনি। অর্থাৎ ৮টা ক্যাচ মিস করেছেন এই ব্যাটার।
- চারিথ আসালঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)
কিংয়ের মত হুবহু একই পরিসংখ্যান আছে চারিথ আসালঙ্কার নামের পাশে। ২০২৩ সাল থেকে এখন পর্যন্ত ২২ বার ক্যাচ ধরতে গেলেও মাত্র ১৪টা ক্যাচ লুফে নিতে পেরেছেন তিনি। ক্যাচিংয়ে তাঁর সফলতার হার তাই মাত্র ৬৩.৬৪ ভাগ।
- গ্লেন ফিলিপ্স (নিউজিল্যান্ড)
চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির উদ্বোধনী ম্যাচে ফ্লাইং বাড রূপে আবির্ভূত হয়েছিলেন গ্লেন ফিলিপ্স। এর আগেও বহুবার দুর্দান্ত সব ক্যাচ ধরে তাক লাগিয়ে দিয়েছিলেন তিনি। তবে তাঁর মিসের পরিমাণ নেহাত কম নয়। ২৩টি সম্ভাব্য সুযোগের মধ্যে সাতটা হাতছাড়া করেছেন এই কিউই ক্রিকেটার। তাঁর সফলতার হার তাই ৬৯.৫৭ শতাংশ, ফিলিপ্সের নামের পাশে সংখ্যাটা কেমন যেন বেমানান আসলে।
- পাথুম নিশাঙ্কা (শ্রীলঙ্কা)
তালিকায় পাথুম নিশাঙ্কা আছেন ফিলিপ্সের সঙ্গেই, তিনিও সমান ২৩টি সম্ভাব্য ক্যাচের বিপরীতে তালুবন্দি করতে পেরেছেন ১৬টা। শীর্ষ পাঁচে দুইজন লঙ্কানের উপস্থিতি শ্রীলঙ্কার জন্য অবশ্য সুখকর নয়।