চৌধুরি সাহেবের ভয়াল রাত!

কোন উইকেট না পাওয়ার হতাশা তো আগে থেকেই ছিল সেই সাথে পারিশ্রমিকের গণ্ডগোলও মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গী। এমন দিন ভুলতে না চাওয়ার উপায় কি আছে! 

অফ স্ট্যাম্পের বাইরে বল করতে করতে পিচের বাইরেই বল করে ফেললেন মৃত্যুঞ্জয় চৌধুরি। এর আগে টানা দুইটি বলে দিয়েছেন ওয়াইড। তারও আগে অদ্ভুত ভুলে মৃত্যুঞ্জয় ছেড়েছেন ক্যাচ। দিনটা ভুলে যেতে চাইতে পারেন তরুণ এই পেসার। ভুলে ভরা এমন দিন ভুলে যাওয়াই তো শ্রেয়।

ইনিংসের একেবারে শুরুর দিকে তিনি ক্যাচ ছেড়েছেন নাঈম শেখের। তাসকিন আহমেদের প্রথম ওভারের তৃতীয় বলে মিড অফে ক্যাচ ওঠে। ত্রিশ গজের বৃত্তের একটু বাইরেই পড়েছিল বল। মৃত্যুঞ্জয় ছুটে যাচ্ছিলেন সে বলটি তালুবন্দী করতে। কিন্তু তিনি শেষ অবধি কি করলেন সে ব্যাখ্যা হয়ত শুধু তিনিই দিতে পারবেন।

তিনি হয়ত অজুহাত হিসেবে ফ্লাডলাইটের আলোর দোষ দিতে পারেন। তাছাড়া উলটো দিকে দৌড়ে যাচ্ছিলেন বলেই হয়ত বলের গতিপথ বুঝতে অসুবিধা হয়েছিল তার। কিন্তু শেষ অবধি তিনি বলের কাছাকাছিও পৌঁছাতে পারেননি। শেষ অবধি বিষয়টিকে দৃষ্টিকটু এক ক্যাচ মিসই মনে হয়েছে।

সেখানে শেষ নয়। বল হাতেও বেজায় বাজে দিন কাটিয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। ৪ ওভার বোলিং করে ৪৫ রান হজম করেছেন। এর মধ্যে ব্যক্তিগত শেষ ওভারে তো ব্যাটারের ভয়ে ক্রমাগত ওয়াইড দিতে দিতে নো বলও করে বসেন। তার ওভারের একেবারে শেষ বল করতে তার বল ছুড়তে হয়েছে চারবার।

অফসাইডে সরে গিয়ে রুম বানিয়ে শট খেলতে চেয়েছিলেন মাহিদুল ইসলাম অঙ্কন। তার মতিগতি বুঝতে পেরে ওয়াইড অফসাইডে বল করতে চেয়েছেন মৃত্যুঞ্জয়। কিন্তু বলে ছিল না তেমন নিয়ন্ত্রণ। দুইবার হয়েছে ওয়াইড। দ্বিতীয় দফা তো প্রায় নো বল হতেই বসেছিল। ষোলকলা পূর্ণ করে তৃতীয়বার বল ছুড়লেন তিনি পিচের বাইরে। তাতে করে নো-বলও লেখা হয়ে যায় মৃত্যুঞ্জয়ের ওভারে।

দিনটাকে একেবারে ঘোর অমাবশ্যায় পরিণত প্রায় করেই ফেলেছিলেন মৃত্যুঞ্জয়। থার্ড ম্যান অঞ্চলে ফিফটি করা আফিফ হোসেনের ক্যাচ উঠেছিল। তিনবারের প্রচেষ্টায় সেই ক্যাচ তালুবন্দী করেন মৃত্যুঞ্জয়। নতুবা বাজের দিনের অন্ধকার দ্বিগুণ ঘনিভূত হতো। কোন উইকেট না পাওয়ার হতাশা তো আগে থেকেই ছিল সেই সাথে পারিশ্রমিকের গণ্ডগোলও মৃত্যুঞ্জয়ের সঙ্গী। এমন দিন ভুলতে না চাওয়ার উপায় কি আছে!

Share via
Copy link