সেদিন ধোনিও চোখের জল আটকাতে পারেননি!

বিশ্বকাপের আরো একটা সেমিফাইনালের সঙ্গী হচ্ছে ভারত। নিউজিল্যান্ডকে এদফা অবশ্য হেসে খেলেই হারিয়েছে ভারত। তবে ম্যাচ শুরুর আগে তাদের তাড়া করছে ‘সেমিফাইনাল জুজু’। ২০১৫ বিশ্বকাপ থেকে ২০১৯- টানা দুই বিশ্বকাপেই সেমিতে আটকে গিয়েছে ভারত।

২০১৫ বিশ্বকাপের কথাই ধরা যাক। সেবার কী দুর্দান্তই না খেলেছিল মহেন্দ্র সিং ধোনির ভারত। কোয়ার্টার ফাইনাল পর্যন্ত অপরাজেয় ছিল ভারত। কিন্তু উড়তে থাকা ভারতের স্বপ্নভঙ্গ হলো সেমিফাইনালে এসে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে হেরে। একই দৃশ্যের পুনরাবৃত্তি ২০১৯ বিশ্বকাপেও। রাউন্ড রবিন লিগে টেবিল টপার ভারতের বিদায় হয় নিউজিল্যান্ডের কাছে সেমিফাইনালে হেরে।

সে ম্যাচে ধোনি আর রবীন্দ্র জাদেজা মিলে জয়ের পথেই নিয়ে যাচ্ছিলেন দলকে। কিন্তু শেষ রক্ষা হয়নি ধোনির সেই বিখ্যাত রান আউটে। আর এই আউটের পরই ধোনিকে বেশ বিমর্ষ চেহারায় মাঠ ছেড়ে যেতে দেখা যায়। সে দিন আসলে ধোনি কতটা ভেঙে পড়েছিলেন, সেটিই ৪ বছর বাদে জানিয়েছেন তখনকার কোচ রবি শাস্ত্রী।

এক সংবাদমাধ্যমে সেই তিক্ততায় পূর্ণ স্মৃতির কথা টেনে তিনি বলেন, ‘আমি তখন ড্রেসিং রুমে ছিলাম। এবারের মতো সেবারও আমরা পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে থেকে সেমিতে গিয়েছিলাম। তো এমন অপ্রত্যাশিত ফলাফল হওয়ার পর দলের সবাই ভেঙে পড়েছিল। ধোনিও নিজের চোখের জল আটকাতে পারেনি। শেষ মুহূর্তে ও আউট হওয়ার পর ড্রেসিংরুমে গিয়ে নিজের দরজা বন্ধ করে দেয়। তখন ওর মধ্যে কী চলছিল, তা বলে বুঝানোর মতো নয়। পুরো টুর্নামেন্টে ভাল খেলে নক আউট স্টেজে বাদ পড়ার ব্যাপারটা কতটা দুঃখজন তা আমরা জানি। তবে সেটিও একটা শিক্ষা আমাদের জন্য। ঐ দলের ৭/৮ জন  এবারের বিশ্বকাপও খেলছে। আশা করছি, ৪ বছর আগের সেই স্মৃতি তাদের ক্যারিয়ারের বড় একটা অভিজ্ঞতা হয়ে থাকবে।’

তবে ৪ বছর আগে নিউজল্যান্ডের কাছে হারলেও এবার তেমনটি হবে না তা আগেই ভেবেছিলেন রবি শাস্ত্রী। তিনি বলেন, ‘এবার নিজেদের মাটিতে খেলা হচ্ছে। প্রত্যেকটা কন্ডিশন চেনা। গ্যালারি ভর্তি দর্শক নিজেদের অনুকূলে। যদিও সেটাই একই ভাবে চাপেরও কারণ। কিন্তু দিনশেষে এত সমর্থন একটা দলকে নিশ্চিতভাবেই এগিয়ে রাখে। আশা করছি, আগের দুই বিশ্বকাপের পুনরাবৃত্তি এবার হবে না।’

 

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link