করোনা পরিস্থিতি একটু একটু করে স্বাভাবিক হয়ে আসছে। ফলে আবার চিন্তায় ফিরে এসেছে বঙ্গবন্ধু শতবর্ষের বিশেষ আয়োজন-বিশ্ব একাদশ বনাম এশিয়া একদশ সিরিজ। পোশাকি নাম মুজিব হানড্রেড টি-টোয়েন্টি কাপ। সেই টুর্নামেন্টে বিরাট কোহলি, রোহিত শর্মা, ঋষাভ পান্ত, শিখর ধাওয়ান, রশিদ খান, কাইরেন পোলার্ড, জনি বেয়ারস্টো, ফাফ ডু প্লেসিস, কুলদ্বীপ যাদবের মত তারকাদের খেলার কথা।
২০২০ সালের মার্চ থেকে পালন হচ্ছে মুজিববর্ষ। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকীর এই আয়োজনে সামিল হতে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ডও এক মহা আয়োজন করতে চেয়েছিলো। তাদের পরিকল্পনা ছিলো গত মার্চেই ঢাকায় বিশ্ব একাদশ বনাম এশিয়া একাদশের একটি অলস্টার সিরিজ আয়োজন করা। কিন্তু করোনার প্রবল প্রকোপে সে আয়োজন স্থগিত হয়ে যায়। তবে চিন্তাটা বাতিল হয়ে যায়নি। বিসিবি জানালো, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে আসলেই তারা জমজমাট এই আয়োজনটা করতে চায়।
২০১৯ সালেই বিসিবি এই বিশ্ব একাদশ বনাম এশিয়া একদশ সিরিজের আয়োজন নিয়ে তোড়জোড় শুরু করে। দুই দলে খেলার জন্য বিশ্বের মহারথী সব খেলোয়াড়ের নামও নিশ্চিত করে ফেলে তারা। পেয়ে যায় সংশ্লিষ্ট বোর্ডগুলোর অনুমোদন। পাশাপাশি আইসিসির কাছ থেকে বিশেষ একটা অনুমতি পায় বিসিবি।
আইসিসি কোনো দুটি সমন্বিত একাদশের খেলাকে আর্ন্তজাতিক ম্যাচ বলে স্বীকৃতি দেয় না। এক পক্ষে একটা দেশ থাকতে হয়। কিন্তু বাংলাদেশের অনুরোধে এই দুটি ম্যাচকে আইসিসি আর্ন্তজাতিক ম্যাচ বলে স্বীকৃতি দেয়। ঠিক হয় ২১ ও ২২ মার্চ মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে এই দুটি ম্যাচ আয়োজিত হবে। কিন্তু সে সময়ই বাংলাদেশসহ বিশ্বজুড়ে আবার করোনার নতুন ঢেউ শুরু হয়। ফলে স্থগিত হয়ে যায় এই পরিকল্পনা।
এখন পরিকল্পনাটার অবস্থা বলতে গিয়ে বিসিবির প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা নিজামউদ্দিন চৌধুরী সুজন বলছিলেন, তারা খুব সক্রিয়ভাবেই আয়োজনের চিন্তাটা রেখেছেন, ‘এটা তো আমাদের একটা প্রতিশ্রুতি। আমরা এই আয়োজনের পথে অনেকটাই এগিয়েছিলাম। কিন্তু বিশ্ব পরিস্থিতি এখনও স্বাভাবিক হয়নি। তাই এই মুহুর্তে আমরা নতুন তারিখ ঠিক করতে পারছি না। তবে আমরা চাই, পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলেই যাতে আমরা এই আয়োজনটা করতে পারি।’
তবে এই আয়োজনের জন্য তড়িঘড়ি করতে চায় না বিসিবি। তারা যেন তেন প্রকারে ম্যচ দুটো আয়োজন করতে চায় না। সুজন ব্যাখ্যা করে বলছিলেন, ‘আমরা চাই এটা সমস্ত ক্রিকেট বিশ্বে নজর কাড়া একটা আয়োজন হোক। সে জন্যই এটা চিন্তা করা হয়েছিলো। এখন আমরা যেনো তেনো প্রকারে খেলাটা মাঠে নামালে আমাদের সেই উদ্দেশ্য সফল হবে না। তাই আমরা বিশ্বসেরা তারকাদের জন্য অপেক্ষা করতে চাই। আমরা চাই যে জন্য পরিকল্পনা করা হয়েছিলো, সেটা যেনো সফল হয়।’
নিজেদের সে জন্য কোনো সময়সীমা বেঁধে দিচ্ছেন না সুজন। তিনি বলছিলেন, ‘আমরা চেষ্টা করবো মুজিববর্ষের মধ্যেই আয়োজন করতে। করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি খেলোয়াড়দের পাওয়া যাওয়ার একটা বিষয় আছে। এমন একটা সময় ঠিক করতে হবে, যখন এই দলগুলোর খেলা থাকবে না। সে জন্য হয়তো আমাদের একটু অপেক্ষা করতে হবে।’