ক্রিজের মাঝপথে থমকে গিয়েছিলেন ভারতের শ্রেয়াস আইয়ার। এক মুহূর্তের ভুল মানেই সাজঘরের পথ, কিন্তু ভাগ্য যেন এক চুলের জন্য সহায় ছিল। মিড-অফ থেকে নাজমুল হোসেন শান্ত দারুণ এক থ্রো ছুড়েছিলেন মুস্তাফিজুর রহমানের দিকে।
কিন্তু মুস্তাফিজ তালুবন্দি করতে পারলেন কই? সহজ রানআউটের সুযোগ হাতছাড়া! শূন্য রানেই ফিরতে পারতেন আইয়ার, কিন্তু বেঁচে গেলেন এক অলৌকিক ভাগ্যের জোরে।
এই জীবন পেয়েই যেন আর পেছনে তাকানোর সুযোগ দিলেন না শ্রেয়াস আইয়ার। স্ট্রাইকে গিয়েই মুস্তাফিজকে চার মেরে নিজের রানের খাতা খুললেন, পরের ওভারে আরও এক চার মেরে যেন ভুলের খেসারত আদায় করাচ্ছিলেন কাটার মাস্টারকে। আইয়ারের ব্যাট কথা বলছিল, আর মুস্তাফিজের চোখেমুখে ছিল চাপা হতাশা।
কিন্তু ফিজ কি আর ছেড়ে দিবেন? তিনি প্রতিশোধ নিতে জানেন, প্রতীক্ষার শেষে সুযোগ ধরা দিল। ফিরতি ওভারে বল হাতে নিলেন, গতি বদলে ছুড়ে দিলেন এক নিখুঁত অফ-কাটার। বল যেন নিখুঁতভাবে ঢুকে পড়ল আইয়ারের ফাঁদে।
মিড-অফের উপর দিয়ে তুলে মারতে চেয়েছিলেন, কিন্তু ব্যাটে-বলে টাইমিং হল না। বল আকাশে উঠল, আর সময় যেন থমকে গেল! শান্ত পেছনে ছুটলেন, এক মুহূর্ত চোখ তুলে তাকালেন, বলের নিচে নিখুঁতভাবে গিয়ে দাঁড়ালেন—এবার আর ভুল হয়নি!
তালুবন্দি করলেন বল, আর মুষ্টিবদ্ধ হাতে উদযাপনে মাতলেন মুস্তাফিজ! যেই শান্তর থ্রো মিস হওয়ায় প্রথমবার বেঁচে গিয়েছিলেন আইয়ার, সেই শান্তর হাতেই এবার ধরা পড়লেন! মুস্তাফিজ যেন হাফ ছেড়ে বাঁচলেন, নীরব প্রতিশোধটা পরিপূর্ণ হল!