পুরনো বলে মুস্তাফিজের জাদুকরি মুন্সিয়ানা

নতুন বলে তিনি যেমনই করুক না কেন, উজ্জ্বলতা হারানো বলে, তিনি এক জাদুকর। তিনি তার কব্জির মোচড়ে সম্মোহনে ফেলে দেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের।

ডেথ ওভারে মুস্তাফিজুর রহমানের বিকল্প খুঁজে পাওয়া দুষ্কর। নতুন বলে তিনি যেমনই করুক না কেন, উজ্জ্বলতা হারানো বলে, তিনি এক জাদুকর। তিনি তার কব্জির মোচড়ে সম্মোহনে ফেলে দেন প্রতিপক্ষ ব্যাটারদের। এদিন দুবাই ক্যাপিটালসের হয়ে সে কাজটিই আবার করে দেখালেন দ্য কাটার মাস্টার।

প্রথম স্পেল যথারীতি হয়নি মুস্তাফিজ সুলভ। দুই ওভারে ২১ রান হজম করেন বা-হাতি এই পেসার। তবে ফখর জামানের মত এক গুরুত্বপূর্ণ উইকেট তিনি ঠিকই বাগিয়ে নিয়েছেন। দিন খুব বাজে না গেলে, কোন না কোন ভাবে তিনি দলের উপকারে আসবেন- এ যেন এক চিরন্তন সত্যে পরিণত হয়েছে।

তবে মুস্তাফিজ নিজের মুন্সিয়ানা দেখালেন মূলত নিজের করা দ্বিতীয় স্পেলে। তিনি যখন বোলিন প্রান্তে এলেন, তখন ডেজার্ট ভাইপার্সের জয়ের জন্য ৩০ বলে ৩৬ রান প্রয়োজন। একেবারে পানির মত সরল সমীকরণ। কিন্তু সেই সরল সমীকরণে বেশ খানিকটা জটিল বানিয়ে দিলেন মুস্তাফিজুর রহমান।

১৬ তম ওভারে তিনি খরচা করলেন মোটে চার রান। শিমরন হেটমায়ার ও স্যাম কারানের মত ব্যাটাররা তখন ব্যাটিংয়ে। তাদের বিরুদ্ধে স্রেফ চার রানের ওভার রীতিমত ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। মুস্তাফিজুর সে কাজটাই করলেন। কিন্তু ঠিক তার পরের ওভারে ডেভিড উইলি হেটমায়ারদের উপর আসা সমস্ত চাপকে লঘু করে দিলেন।

১২ রানের একটা ওভার করে, ডেজার্ট ভাইপার্সের ব্যাটারদের নির্ভার করে দেন। এরপর মুস্তাফিজের আর তেমন কিছুই করার ছিল না। কেননা জিততে যে আর ১৮ বলে ২০ রান প্রয়োজন ছিল। তবে বাংলাদেশের কাটার মাস্টার হাল ছেড়ে দিলেন না। তিনি ঠিকই নিজের কাজটা করে গেলেন।

স্লোয়ার, অফকাটার, সিমআপ- ভেরিয়েশনের পসরা সাজানো ওভারে মুস্তাফিজের খরচ ৫ রান। মুস্তাফিজ যতই ব্যাটারদের উপর চাপ বাড়িয়েছেন, ততই অপরপ্রান্তে তার সতীর্থরা চাপ লঘু করার সুযোগটা করে দিয়েছেন। ১৯ তম ওভারে মোহাম্মদ জাওয়াদউল্লাহ এক ছক্কাসহ হজম করলেন ১২ রান। ব্যাস, মুস্তাফিজের আপ্রাণ চেষ্টার পরও ম্যাচটি হেরেছে দুবাই ক্যাপিটালস।

লেখক পরিচিতি

রাকিব হোসেন রুম্মান

কর্পোরেট কেরানি না হয়ে, সৃষ্টি সুখের উল্লাসে ভাসতে চেয়েছিলাম..

Share via
Copy link