দেশে মুস্তাফিজ ম্যাচ জেতান, কপাল পুড়ে চেন্নাইয়ের

ইন্ডিয়ান প্রিমিয়ার লিগে(আইপিএল) দারুণ এক সময় কাটিয়েছেন মুস্তাফিজুর রহমান। দেশে এসেই আবারো সেই কাটারেই পরাস্ত করলেন জিম্বাবুয়ের ব্যাটারদের। অন্যদিকে, তার অভাবটা যেন হাড়েহাড়েই টের পেয়েছে চেন্নাই সুপার কিংস। একদিকে চেন্নাইয়ে খেলার অভিজ্ঞতা ভালোভাবেই কাজে দিয়েছে এই কাটার মাস্টারের। অন্যদিকে তার অভাবে গুজরাট টাইটান্স ব্যাটারদের কাছে তুলোধুনো হয়েছে চেন্নাই।

মুস্তাফিজ বরাবরই জ্বলে ওঠেন আইপিএলে। এবারের আসরও তার ব্যতিক্রম ছিল না। চেন্নাইয়ের হয়ে শিকার করেন ১৪ টি উইকেট। সেই সাথে অর্জন করেছিলেন ‘পার্পেল ক্যাপ’। তবে জাতীয় দলের প্রয়োজনে আইপিএলের মাঝ পথেই ফিরে আসতে হয় তাঁকে। আইপিএল থেকে ফিরে বিশ্রাম নিয়েছেন মুস্তাফিজ। খেলেননি প্রথম তিন ম্যাচ।

মিরপুরে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মুখোমুখী হয় বাংলাদেশ এবং জিম্বাবুয়ে। চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে মাঠে নামেই নিজের দারুণ সময়ের প্রতিচ্ছবি আঁকলেন এই বাঁ হাতি। ঝালাই করেন নেন নিজের কাটারের ধার। দেশের হয়ে মলিন থাকে মুস্তাফিজের বল। তবে বিশ্বকাপের আগে সে আক্ষেপ সম্ভবত ঘুচতে চলেছে।

আইপিএল থেকে ফিরে সেই কার্যকর মুস্তাফিজ হয়েই ধরা দিয়েছেন কাটার মাস্টার। ৪ ওভার হাত ঘুরিয়ে ৪.৭৫ ইকোনমিতে খরচ করেন মাত্র ১৯ রান। সেই সাথে তুলে ৩টি উইকেট। একে একে সাঝ ঘরে ফেরান রায়ান বার্ল, লুক জঙ্গুই আর ফারাজ আকরামকে।

তবে রায়ার্ন বার্লের উইকেট ছিল ম্যাচের টার্নিং পয়েন্ট। কেননা ১৪৪ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে থাকা জিম্বাবুয়ে বেশ জয়ের দিকেই রেখেছিল নজর। বার্ল ও জনাথন ক্যাম্পবেলের জুটির উপর ভর করে জয়ের ছক কষতে শুরু করে আফ্রিকার দলটি। তবে নিজের অভিজ্ঞতা আর দক্ষতার প্রমাণ দেখিয়ে মুস্তাফিজ তুলে নেন বার্লের উইকেট।

ওই ওভারেই ম্যাচের জঙ্গুইকে ফেরান তিনি। তাতে করে জয়ের আশা মলিন হতে শুরু করে জিম্বাবুয়ের। শেষ অবধি তার দারুণ মিতব্যয়ী বোলিং ও ব্রেকথ্রু এনে দেওয়ার পুরষ্কারও পেয়েছেন মুস্তাফিজ। ম্যাচ সেরার পুরষ্কারটা তার হাতেই উঠেছে। সেটাই যেন বাংলাদেশী ক্রিকেট ভক্তদের মনে আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে।

 

ডেথ ওভারে প্রতিপক্ষের ব্যাটারদের কাপুনি ধরাতে পারেন মুস্তাফিজ । আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে তাঁর এই ধারা অব্যাহত থাকলে বাংলাদেশের বোলিং লাইন আপ হতে পারে প্রতিপক্ষের ভয়ের কারণ। তাই বিশ্বকাপেও দ্যা ফিজের এমন পারফর্ম্যান্স দেখার অপেক্ষাতেই আছে দেশের কোটি কোটি ক্রিকেট ভক্ত।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link