নাহিদ ভয় ধরান, নাচতে বাধ্য করেন

নাহিদকে উইকেট বা রানের গন্ডিতে মাপা যাবে না। যিনি বলবেন ধা, ব্যাটার নাচবেন তেরেকেটে। শোয়েব, লি, জনসনরা ফিরে আসবেন ক্রিকেট মাঠে।

নাহিদ রানা ইজ ম্যাজিক, নাহিদ রানা ইজ পিওর ম্যাজিক। অতীত, বর্তমান, ভবিষ্যৎ ভুলে যান। ভুলে যান বাংলাদেশ ক্রিকেটে কি চলছে, কি চলেছে, কি আছে সামনে। চাইলে ভুলে যেতে পারেন প্রিয়তম মানুষের মুখখানাও। কেবল দেখুন নাহিদ রানা বোলিং করছেন।

শোয়েব আখতার, ব্রেট লি, মিচেল জনসনরা ব্যাটারদের মনে ভয় তৈরি করতেন। জয়, পরাজয়, রান কিংবা উইকেট ছাপিয়ে ক্রিকেটের পিচে দেখা মিলতো ব্যাটারদের অদ্ভুতুড়ে সব নৃত্যশিল্পের। ক্রিকেট মাঠের সবথেকে ভয়ঙ্কর সুন্দর দৃশ্যের দেখা মেলে এভাবেই।

নাহিদ সেই নৃত্য শিল্পের নতুন মাস্টার, তৈরি করেন ওস্তাদ জাকির হোসেনের তেরেকেটে রেলা। ধা, তেরেকেটে তাকতা তেরেকেটে, ধা, তেরেকেটে তাকতা তেরেকেটে।


ব্যাটারদের তাল মেলে, সুর মেলে না। তেরেফুরে লুইস মারতে যান মঞ্চ ছেড়ে চলে যাবেন বলে। লুইস মারার জন্য মারেন না, ভয় থেকে ব্যাট চলে। মানুষের আদিমতম প্রবৃত্তি, এলোপাতাড়ি হাত চালিয়ে ভয় থেকে মুক্ত হও। তবুও লুইসের মুক্তি মেলে না। যেমন মুক্তি মেলেনি বাবর কিংবা রিজওয়ানের।

শোয়েব যেন নাহিদ হয়ে ফিরে এসেছেন, লি যেন নাহিদের হাত ধরে ফিরে এসেছেন ক্রিকেট মাঠে। চা বিরতির পর টানা ১৮ বলের ঝড়, কাপলেন লুইস, কাপলেন ব্র‍্যাথওয়েট, তবুও একটা বলের গতি নামলো না ১৪৫ কিলোমিটারের নিচে। টানা ১৮ টা বল!

নাহিদকে উইকেট বা রানের গন্ডিতে মাপা যাবে না। প্রতিনিয়ত একটু করে ব্যাটারদের পক্ষে যাওয়া ক্রিকেটে একজন ডান্স মাস্টারের বড্ড প্রয়োজন। যিনি বলবেন ধা, ব্যাটার নাচবেন তেরেকেটে। শোয়েব, লি, জনসনরা ফিরে আসবেন ক্রিকেট মাঠে।

Share via
Copy link