বিশ্বকাপ খেলা হচ্ছে না তামিম ইকবালের – এই খবরটা মোটামুটি চূড়ান্ত। তাঁর জায়গায় বিশ্বকাপগামী বিমানে উঠবেন নাঈম শেখ। নাঈমের জন্য বিষয়টাকে আকাশের চাঁদ হাতে পাওয়াই বলা যায়। কারণ, ওয়ানডেতে এখনও একটা বড় ইনিংস তো দূরের কথা কোনো হাফ সেঞ্চুরিও পাননি তিনি।
মূলত ফিটনেস ইস্যুতেই বাদ পড়েছেন তামিম ইকবাল। তাঁর তরফ থেকে জানানো হয়েছে, বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচ তাঁর পক্ষে খেলা সম্ভব না। নির্বাচকরা বিষয়টা জানার পর টিম ম্যানেজমেন্টের সাথে কথা বলেন। অধিনায়ক সাকিব আল হাসান ও কোচ চান্দিকা হাতুরুসিংহে হাফ ফিট কোনো ক্রিকেটারকে বিশ্বকাপে নিয়ে যেতে চান না।
ফলে, ২০০৩ সালের পর এবারই কোনো ওয়ানডে বিশ্বকাপে বাংলাদেশ প্রথমবারের মত তামিম ইকবালকে ছাড়া মাঠে নামবে। সর্বশেষ আফগানদের বিপক্ষে দেশের মাটিতে একটা ম্যাচ খেলেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসরের ঘোষণা দিয়ে ফেলেন তৎকালীন ওয়ানডে অধিনায়ক তামিম ইকবাল। তখন, তাঁর ফিটনেস ইস্যু থাকার পরও ম্যাচ খেলায় অসন্তোষ ছিল কোচ ও বোর্ড সভাপতির।
পরে মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর বিশেষ অনুরোধে তামিমকে ফেরানো হয়। তবে, ফিটনেস ইস্যুতে মিস করেন এশিয়া কাপ। কোমড়ের ব্যাথার জন্য অস্ত্রোপচারে না যেয়ে ইনজেকশন নেওয়ার সিদ্ধান্ত নেন তামিম, যেটা আসলে কোনো স্থায়ী সমাধান নয়। এরপর তিনি ফিটনেস ফিরে পাওয়ার সংগ্রামে ছিলেন।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ফিরে ৫৮ বলে ৪৪ রানের ইনিংস খেলেন। সেই ম্যাচের পর নির্বাচকদের সাথে কথা হয় তামিমের। সেখানে তিনি নিজের ফিটনেসর সর্বশেষ অবস্থা জানান।তামিম বিশ্বকাপে সবগুলো ম্যাচ না খেললে, বাংলাদেশের পক্ষে পরিকল্পনা সাজানোও কঠিন। বুধবার বিশ্বকাপের উদ্দেশ্যে যাত্রা করবে বাংলাদেশ দল।
তামিমের জায়গায় বিশ্বকাপের টিকেট পাওয়া নাঈম শেখ আটটি ওয়ানডে খেলে করেছেন মাত্র ৯৫ রান। গড় মাত্র ১৩.৫৭। তবুও তাঁর ওপর ভরসা করতে হচ্ছে তামিমের ফিটনেসের জন্য। তানজিদ হাসান তামিমকে বাজিয়ে দেখা হলেও তিনি মানিয়ে নিতে পারেননি। ব্যর্থ হয়েছেন তাঁর খেলা সবগুলো ম্যাচেই।
তামিম তো বটেই, টিম ম্যানেজার নাফিস ইকবালকেও দলের সাথে চান না সাকিব আল হাসান। তাই সরানো হয়েছে নাফিসকে। বিশ্বকাপে ম্যানেজার হিসেবে যাওয়া হচ্ছে না বাংলাদেশের সাবেক এই ক্রিকেটারের।
২৭ সেপ্টেম্বর বিকাল চারটায় ভারতের গুয়াহাটির উদ্দেশ্যে রওনা দেবে বাংলাদেশ দল। বিশ্বকাপ শুরু হবে পাঁচ অক্টোবর। এর আগে গুয়াহাটিতে দু’টো প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল।