নাঈম শেখের মাথার উপর ঝুলছে শূল। একেবারে পাতলা এক সুতো আপ্রাণ চেষ্টায় আটকে রেখেছে তা। একটু ভুলচুক হলেই খেল খতম।
বেশ লম্বা সময় পরে জাতীয় দলের দুয়ার খুলেছে নাঈম শেখের জন্যে। ঘরোয়া ক্রিকেটে পারফরম করেই নিজের জায়গা সৃষ্টি করেছেন। আর সেটাই বরং তার জন্যে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জও সৃষ্টি করেছে।
ঘরোয়া ক্রিকেটের আরেক নিয়মিত পারফরমার এনামুল হক বিজয় ব্যর্থ হয়েছেন নিদারুণভাবে। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে সর্বসাকুল্যে তার সংগ্রহ ২৩ রান। চার ইনিংসের দু’টোতে আবার শূন্যরানের বেদনা। বিজয়ের পারফরমেন্স ঘরোয়া ক্রিকেটের মানকে করেছে প্রশ্নবিদ্ধ।
সেই একই মানদণ্ডে উন্নীত হয়ে নাঈম শেখ জাতীয় দলে। যদিও নাঈম ধারাবাহিকভাবে পারফর্ম করে গেছেন গেল এক বছর ধরে। এনসিএল টি-টোয়েন্টি থেকে শুরু করে বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ, ঢাকা প্রিমিয়ার ডিভিশন ক্রিকেট লিগ সর্বত্র সমানতালে চলেছে তার ব্যাট।
এমনকি বাংলাদেশ এ দলের হয়ে নিউজিল্যান্ডের এ দলের বিপক্ষেও তিনি ছিলেন রানের ধারাতেই। তবে তিনি মূলত বদল এনেছেন তার স্ট্রাইকরেটে। ১৩৫ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে তিনি সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক হয়েছিলেন এনসিএল টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে।
এরপর বিপিএলেও প্রায় ১৪৪ স্ট্রাইকরেটে তিনিই ছিলেন রান বিবেচনায় সবার উপরে। ৫১১ রান নিয়েছিলেন নাঈম শেখ। ঘরোয়া ক্রিকেটের বাকি আয়োজনের তূলনায় অন্তত বিপিএল ঢের বেশি প্রতিযোগিতামূলক।
এরপর লিস্ট এ টুর্নামেন্ট ডিপিএলে নাঈম শেখ ছিলেন তৃতীয় সর্বোচ্চ রান সংগ্রাহক। তাছাড়া তার প্রায় ১২৭ স্ট্রাইকরেট নিদেনপক্ষে ৫০০ রান করা ব্যাটারদের মধ্যে ছিল দ্বিতীয় সর্বোচ্চ। এমন ধারাবাহিকতার পর তাকে জাতীয় দল থেকে দূরে রাখা রীতিমত অন্যায়ের শামিল।
ঠিক সে কারণেই নাঈম শেখ সুযোগ পেয়েছেন শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ওয়ানডে সিরিজে। তার উপর প্রত্যাশা থাকছে নিঃসন্দেহে। প্রত্যাশার চাইতেও প্রমাণের চাপটা ভারি। কেননা তাকে যে প্রমাণ করতে হবে ঘরোয়া ক্রিকেট আর আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে একই ধারায় ব্যাট করতে পারেন তিনি।