গড়টা ১১৭! চমকপ্রদ এক পরিসংখ্যান তো বটেই। যদিও টুর্নামেন্টের এখনও অনেকটা পথ বাকি। তবে ইতোমধ্যেই নিজের পারফরমেন্স দিয়ে আলো কাড়ছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান। ক্রমশ তিনি হয়ে উঠছেন চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্সের ‘নিউক্লিয়াস’।
পয়েন্ট টেবিলের উপরের দিকেই অবস্থান করছে চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। প্রথম পর্বে সর্বাধিক ম্যাচও খেলেছে দলটি। তাতে করে একটি ম্যাচে পরাজয়ের স্বাদও গ্রহণ করে ফেলেছে। দু’টো ম্যাচে জয়ের দেখা পেয়েছে শুভাগত হোমের দল। আর সেই দুই জয়ে ব্যাট হাতে অবদান রেখেছেন নাজিবুল্লাহ জাদরান।
দুর্দান্ত ঢাকার বিপক্ষে ম্যাচটিতেও জাদরান খেলেছেন নিজের স্বভাবজাত ভঙ্গিমায়। আক্রমণ করেছেন ঢাকার দারুণ বোলিং ইউনিটকে। ঢাকার স্বল্প রানের অস্বস্তির ঘায়ে নুনের ছিটাই দিয়েছেন জাদরান। তানজিদ হাসান তামিম ও শাহাদাত হোসেন দিপু জয়ের ভীত গড়ে দিয়েছিলেন ১৩৭ রানের টার্গেটের। সেই জয়কে ত্বরাণ্বিত করেছেন জাদরান। খেলেছেন ১৯ বলে ৩২ রানের এক কার্য্যকর ক্যামিও।
সে সময়ে তার স্ট্রাইকরেট ছিল প্রায় ১৬৮.৪২। স্রেফ যে দলকে জয়ের দিকে দ্রুত সঞ্চালন করছেন জাদরান, তেমনটি নয়। তিনি দলের জয় নিশ্চিত করেই মাঠ ছাড়ছেন। দুই ম্যাচ ছিলেন অপরাজিত। প্রথম ম্যাচে তো অর্ধশতকের দেখাও পেয়েছেন আফগান এই ব্যাটার। সিলেট স্ট্রাইকার্সের দেওয়া ১৭৮ রানের টার্গেটেও জয় সূচক রান এসেছে তার ব্যাটে।
সেদিন মাশরাফি বিন মর্তুজাকে বাউন্ডারি হাঁকিয়ে দলের জয় নিশ্চিত করেছেন। ঢাকার সেরা বোলার শরিফুলের ১৯ তম ওভারের প্রথম বলেই হাঁকিয়েছেন বিশাল ছক্কা। এরপর দুই রান নিয়ে দশ বল বাকি থাকতেই বন্দর নগরীর তরী ভিড়িয়েছেন জয়ের বন্দরে।
এখন অবধি খেলা তিন ম্যাচে তার মোট রান ১১৭। ১৬৪ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে তিনি রান করেছেন এখন অবধি। চট্টগ্রামের স্তম্ভ হয়ে প্রতিটা ম্যাচেই গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখে চলেছেন জাদরান। ঢাকা পর্ব তাই স্বস্তি নিয়ে শেষ করতে পেরেছে চট্টগ্রাম।
আটটি ছক্কা হাঁকিয়ে এখন পর্যন্ত সবার উপরেই রয়েছেন বা-হাতি এই ব্যাটার। দ্বিতীয়স্থানে রয়েছেন তারই সতীর্থ শাহাদাত দীপু। এখানেই টুর্নামেন্টের সমাপ্তি হয়ে যায়নি। তাইতো নাজিবুল্লাহ জাদরানের দায়িত্ব বেড়ে যাচ্ছে বহুগুণে। দল যে তার উপরে ভরসা করতে শুরু করেছে নিশ্চিতরুপেই। প্রত্যাশাও বেড়ে গেছে স্বাভাবিকভাবেই। প্রত্যাশার শেষটায় নিশ্চয়ই হতাশ করবেন না জাদরান।