১৭ বছর বয়সী এক কিশোরিকে ধর্ষণের অভিযোগে জেল খেটেছেন প্রায় পাঁচ মাস। আদালতের আদেশে মুক্তি পাবার পর সন্দীপ লামিছানের ওপর নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছিলো নেপাল ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন। নিষেধাজ্ঞা থেকে ফেরার পর নেপালের জার্সিতে চারটি ম্যাচে মাঠেও নেমেছিলেন।
তবে মামলা নিষ্পত্তি হবার আগে দেশের বাইরে ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞা ছিলো তাঁর ওপর। তাই আইসিসি ক্রিকেট ওয়ার্ল্ড কাপের লিগ-২ এর ম্যাচ খেলতে লামিছানেকে রেখেই দুবাই গিয়েছিলো নেপাল দল। এবার এই পোস্টার বয়ের ওপর থেকে বিদেশ ভ্রমণের নিষেধাজ্ঞাও তুলে নিয়েছে দেশটির সুপ্রিমকোর্ট। তাই দুবাইয়ে দলের সাথে যোগ দিতে যাচ্ছেন এই লেগ স্পিনার।
লামিছানের বিরুদ্ধে ধর্ষণের মামলাটি হয়েছিল গত বছরের ৬ সেপ্টেম্বর। ৩১ অক্টোবর তার বিরুদ্ধে আদালতে অভিযোগপত্র দেয়া হয়। সেই অভিযোগপত্রে লামিছানের বিরুদ্ধে ১৭ বছর বয়সী কিশোরীকে ধর্ষণের অভিযোগ ছিল। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নেপালের আইন অনুযায়ী ১০ থেকে ১২ বছরের কারাদণ্ড হতে পারে তার।
আদালতে অভিযোগপত্র দেয়ার সময় লামিছানে ক্যারিবিয়ান প্রিমিয়ার লিগ (সিপিএল) খেলতে গিয়েছিলেন। এরপর কাঠমান্ডু ডিস্ট্রিক্ট আদালত গ্রেফতারি পরোয়ানা জারি করেন। এরপরই ক্রিকেট অ্যাসোসিয়েশন অব নেপাল (সিএএন) তাকে দলের নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেয় এবং জাতীয় দল থেকে নিষিদ্ধও করে।
সিপিএল খেলে ফেরার পথে কাঠমান্ডুর ত্রিভুবন বিমানবন্দরে লামিছানে গ্রেফতার হন। ১৩ জানুয়ারি জামিনে মুক্তি পান তিনি। এরপর পাটন হাইকোর্টের একটি যৌথ বেঞ্চ লামিছনেকে ২০ লাখ রুপি অর্থদণ্ডে বিনিময়ে জামিন দেন।
জামিনের পর নামিবিয়া এবং স্কটল্যান্ডের বিরুদ্ধে হোম সিরিজে খেলেন লামিচানে। কিন্তু মামলা চলমান থাকায় বিশ্বকাপ বাছাই পর্বের লিগ-২ এর ম্যাচ খেলতে বিদেশে যাওয়া নিয়ে বাধে বিপত্তি। কিন্তু সুপ্রিমকোর্ট সেই নিষেধাজ্ঞা তুলে নেয়ায় বিশ্বকাপ বাছাইয়ের বাকি ম্যাচ গুলো খেলা নিয়ে আর কোনো বাঁধা থাকলো না লামিছানের।
লামিছানেকে ছাড়াই অবশ্য বাছাই পর্বের লিগ-২ এর ম্যাচে পাপুয়া নিউ গিনিকে চার উইকেটে হারিয়েছে নেপাল। জুলাইয়ে জিম্বাবুয়ের মাটিতে বিশ্বকাপ বাছাইয়ের মূল পর্বে খেলতে পরের সাত ম্যাচের ছয়টিতেই জিততে হবে নেপালকে। এমন পরিস্থিতিতে লামিছানের দলের সাথে যোগ দেয়াটা দলের শক্তি বাড়বে নিঃসন্দেহে।