শেষ বিশ্বকাপে খেলতে পারেনি ডাচরা। তবে এবার তারা কোমড় বেধেই নেমেছে। যুক্তরাষ্ট্রকে ৩-১ গোলে হারিয়ে প্রথম দল হিসেবে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করলো লুই ফন হাল শিষ্যরা। শেষ ষোলতেই থেমে গেল আমেরিকান বিপ্লব।
আল রাইয়ানের খলিফা ইন্টারন্যাশনাল স্টেডিয়ামে ম্যাচের শুরু থেকেই খেলার নিয়ন্ত্রন নেবার চেষ্টা করে আমেরিকানরা। তিন মিনিটের মাথায়ই বড় সুযোগ পেয়ে যায় যুক্তরাষ্ট্র। টেইলর অ্যাডামসের ক্রস ডি-বক্সে ফাঁকায় পান ক্রিস্টিয়ান পুলিসিক। সামনে একমাত্র বাধা ছিলেন গোলরক্ষক। চেলসি তারকার শট পা দিয়ে ফেরান আন্ড্রিস নোপার্ট।
তবে লিড নিতে বেশিক্ষন অপেক্ষা করতে হয়নি তাদের। খেলার ১০ মিনিটে মেমফিস ডি পাই এর দারুণ গোলে এগিয়ে যায় নেদারল্যান্ডস। গ্রুপের তিন ম্যাচেই গোল করা কোডি গ্যাকপো মাঝমাঠ থেকে পাওয়া বল দেন ডেনজেল ডামফ্রিসকে। ডামফ্রিসের এসিস্টে বল জালে জড়ান বার্সেলোনা ফরোয়ার্ড ডি পাই। এরপর গোলের বড় সুযোগ তৈরি করার চেষ্টা করে দুই দলই।
৪৩ তম মিনিটে ডি-বক্সের বাইরে থেকে টিম ওয়েহর জোরাল শট ঝাঁপিয়ে ঠেকান নোপার্ট। পরের মিনিটে সের্জিনো দেস্তের শট প্রতিহত হয় প্রতিপক্ষ রক্ষণ দুর্গে। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ে ব্যবধান দ্বিগুণ করে ডাচরা। আবারো ডামফ্রিসের ক্রস থেকে অসাধারণ ফিনিশিংয়ে গোল করেন কডালে ব্লিন্ড। ২-০ গোলের লিড নিয়ে বিরতিতে যায় ডাচরা।
বিরতি পর ব্যবধান আরো বাড়াতে পারত নেদারল্যান্ডস। ৫০ মিনিটে ডি পাই এর অসাধারণ শট যুক্তরাষ্ট্রের গোলরক্ষক টার্নার ফিরিয়ে দিলে ব্যবধান বাড়ানো হয়নি ডাচদের। খেলায় ফেরার প্রবল চেষ্টা করতে থাকে যুক্তরাষ্ট্রও। একের পর এক আক্রমণের ফলও পায় তারা। ৭৬ মিনিটে রাইটের অসাধারণ ফ্লিকে খেলায় লাইফ লাইন পায় মার্কিনিরা। ব্যবধান ২-১ এ কমিয়ে আনে তারা।
তবে ৮১ মিনিটে যুক্তরাষ্ট্রের খেলায় ফেরায় সম্ভাবনায় বাঁধ সাধেন ডামফ্রিস। অসাধারণ ফিনিশিংয়ে নেদারল্যান্ডসকে ৩-১ গোলে এগিয়ে দেন তিনি। খেলার বাকি সময় আর কোনো গোল না হলে ৩-১ গোলের জয় নিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত করে নেদারল্যান্ডস। পরবর্তী আসরের সহ আয়োজক যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বকাপ যাত্রা থামলো রাউন্ড অফ সিক্সটিনেই।
প্রথম দল হিসেবে শেষ আট নিশ্চিত করলো ডাচরা। গত বিশ্বকাপ খেলার যোগ্যতা অর্জনে ব্যর্থ হওয়া লুই ফন হাল শিষ্যরা এবার শিরোপার দিকে তীক্ষ্ণ দৃষ্টি রাখতেই পারে।