ঋষাভ পান্ত সাহসী, ইনোভেটিভ, ম্যাচ উইনার। কিন্তু সব কিছু ছাপিয়ে পান্ত একটা ক্যারেক্টার। তিনি প্রথম বলে ‘ডাউন দ্য উইকেটে’ যান, ছক্কা মেরে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন, ১৪০ কি. মি. গতির বলে প্যাডেল করেন।
মাইকেল ভন যার নামকরন করেন ‘দ্য ফলেন প্যাডেল’। আবার প্রতিপক্ষের মোমেন্টাম নষ্ট করতে ফিল্ডিং করতেই করতেই ইনজুরির নাটক সাজান। নিয়ম আর পেশাদারিত্বে দম আটকানো ক্রিকেটে ঋশাভ যেন এক মুক্তির ঝড়ো বাতাস, ‘অ্যা পিওর ক্যারেক্টার’।
ঋষাভের ক্যারেক্টারের আরেকটা ঝলক দেখা গেলো ইংল্যান্ড-ইন্ডিয়া টেস্ট সিরিজের প্রথম ম্যাচে। দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাটিং করছিলেন ঋষাভ। উইকেট এবং কন্ডিশনের সুবিধায় ক্রিস ওকস তখন রীতিমত আগুন ঝড়াচ্ছেন।
ক্রিস ওকসের মোমেন্টাম নষ্ট করতেই কি না কে জানে, বল ছোড়ার আগ মুহূর্তে পান্ত তাকে থামিয়ে দেন। জানান তিনি প্রস্তুত ছিলেন না। সরিও বলে নেন ক্রিস ওকসকে।
পরের বলে ওকস সম্ভবত একটু বেশিই তেতেছিলেন। একটা ‘ইনডাকার’ ছোড়েন পান্তের শরীর লক্ষ্য করে। পান্তও সম্ভবত বুঝতে পেরেছিলেন, সমীহ করে খেলতে হবে। ‘ডেড ব্যাট’-এ ডিফেন্ড করতে চাইলেন। ফলাফল বল আঘাত হানে ঋশাভের শরীরে।
বলকে এতটা সম্মান দিয়ে খেলাটা বোধহয় ঋষাভের পছন্দ হয় নি। ঋশাভের অভিমানী ভাষায়, ‘পাক্কি হুই বল। এতটা সম্মান দিচ্ছি বলেই মিস হয়ে যাচ্ছে।’
আপনি জানেন এরপর কি ঘটতে যাচ্ছে। সম্মান ভুলে গিয়ে ঋষাভ ‘ডাউন দ্য উইকেটে’ এসেছেন, বলকে সোজা পাঠিয়েছেন যেদিক থেকে এসেছে, সেদিকেই। নেভার চেইঞ্জ, ঋষাভ পান্ত!