অধিনায়কত্বের অভিষেক জয় দিয়েই হলো এনামুল হক বিজয়ের; লো স্কোরিং ম্যাচে খুলনা টাইগার্সের কাছে হারলো চট্টগ্রাম চ্যালেঞ্জার্স। নাহিদুল ইসলামের দুর্ধর্ষ বোলিংয়ের পর মাহমুদুল হাসান জয়ের দৃঢ়তায় চার উইকেটের জয় পেয়েছে খুলনা।
গেল আসরে শেষ চারের বাইরে থেকেই বিপিএল শেষ করা দলটা এবার এই জয় থেকে দারুণ একটা সময়ের আশা করতেই পারে। তবে, এর জন্য ধরে রাখতে হবে পারফরম্যান্সের ধারাবাহিকতা।
টসে জিতে এদিন চট্টগ্রামকে ব্যাটিংয়ে পাঠান এনামুল, অধিনায়কের সিদ্ধান্ত সঠিক প্রমাণ করতে বিলম্ব হয়নি নাহিদুলের। প্রথম ওভারে মাত্র এক রান খরচ করেছেন তিনি, ব্যক্তিগত দ্বিতীয় ওভারে এরপর তুলে নিয়েছেন দুই দুইটি উইকেট।
আগ্রাসী হয়ে তানজিদ তামিমকেও শিকার করেছেন এই স্পিনার। তাঁর এমন বিধ্বংসী স্পেলে চট্টগ্রামের বড় সংগ্রহের স্বপ্ন ফিঁকে হয়ে যায়। আর এখানে কৃতিত্ব খুলনার।
আগেরদিনের মত দারুণ কিছু করে দেখানোর ইঙ্গিত দিয়েছিলেন নাজিবুল্লাহ জাদরান ও শাহাদাত হোসেন দীপু। কিন্তু নাসুম আহমেদ দীপুকে বোল্ড করে ভেঙে দেন সেই জুটি, শেষ ওভার করতে এসে নাহিদুল আউট করেন জাদরানকে। ততক্ষণে ৬৪ রানে ছয় উইকেট হারিয়ে বসেছিল চট্টগ্রাম।
দুই অঙ্কের ঘরে অলআউট হওয়ার লজ্জা থেকে তাঁদের রক্ষা করেন আট নম্বরে নামা শহিদুল ইসলাম। লোয়ার অর্ডারের সঙ্গে ছোট ছোট জুটি গড়ে স্কোরবোর্ডে লড়াই করার মত পুঁজি জমা করেন তিনি। শেষপর্যন্ত তাঁর ৩১ বলে ৪০ রানের কল্যাণে ১২১ করতে সক্ষম হয় টিম চ্যালেঞ্জার্স।
এই রান ডিফেন্ড করতে যা করা দরকার ছিল বোলারদের; তাই করেছেন তাঁরা। দ্বিতীয় ওভারেই ভয়ংকর এভিন লুইসকে আউট করেন আল আমিন, খানিক পরে এনামুল থামেন শহিদুলের বলে। বিপর্যয় সামলে ওঠার আগে শাই হোপের স্ট্যাম্প এলোমেলো হয়ে যায়; ৩২ রানে তিন উইকেট হারিয়ে তখন দিশেহারা খুলনা।
বিপর্যস্ত পরিস্থিতি থেকে তাঁদের উদ্ধার করেন দুই তরুণ আফিফ হোসেন আর মাহমুদুল হাসান জয়। দুজনের ধৈর্যশীল ব্যাটিংয়ে ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ পুনরায় দলটির হাতে আসে। তাঁদের ৪৬ রানের জুটি ভাঙেন নিহাদুজ্জামান, ২৬ রান করা আফিফকে বোল্ড করেন তিনি।
কিন্তু জয় অবিচল ছিলেন, ফাহিম আশরাফকে সঙ্গে নিয়ে স্কোরবোর্ডে ৩০ রান যোগ করেন তিনি। ব্যক্তিগত ৩৯ রানে যখন এই ডানহাতি আউট হন চট্টগ্রামের পরাজয় তখন কেবলি আনুষ্ঠানিকতার ব্যাপার ছিল, সেই আনুষ্ঠানিকতা সম্পন্ন করে জয় নিয়ে মাঠ ছাড়েন পাক অলরাউন্ডার।