রাতের অনুশীলন, বাংলাদেশের আজন্ম আক্ষেপ

প্রথম ওয়ানডে থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ - সব জায়গাতেই বাংলাদেশ দল অনুশীলন করছে রাতে। ফ্লাড লাইটের আলোতে। পালেকেল্লে কিংবা ডাম্বুলা - সব জায়গাতেই আছে রাতে ফ্লাড লাইটের আলোতে অনুশীলন করার দারুণ ব্যবস্থা।

প্রথম ওয়ানডে থেকে শুরু করে টি-টোয়েন্টি সিরিজ – সব জায়গাতেই বাংলাদেশ দল অনুশীলন করছে রাতে। ফ্লাড লাইটের আলোতে। পালেকেল্লে কিংবা ডাম্বুলা – সব জায়গাতেই আছে রাতে ফ্লাড লাইটের আলোতে অনুশীলন করার দারুণ ব্যবস্থা।

এত আয়োজন দেখে ডাগ আউটে বসে আক্ষেপ করছিলেন বাংলাদেশের এক তরুণ ক্রিকেটার। বলছিলেন, ‘আমরা এই সুযোগ চট্টগ্রামে গিয়ে পাই না। সকালে সেশনে প্র্যাকটিস হয়। সকালে বৃষ্টি হলে সেটাও মিস হয়। রাতে অনুশীলনের সুযোগ থাকলে সেটা আর মিস হয় না। আপনারা শুধু আমাদের পারফরম্যান্স নিয়ে বলেন, সুযোগ থাকলে এটা নিয়েও বলবেন।’

সত্যিই তাই, বাংলাদেশে এক মিরপুর জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়াম বাদে অন্য কোথাও অবকাঠামোগত সুবিধা সেই পর্যায়ে নেই যেখানে রাতের বেলাতেও অনুশীলন সম্ভব। যেটা সম্ভব হয় শ্রীলঙ্কায়।

বিষয়টা এমন না যে ডাম্বুলা খুব উন্নত শহর। ডাম্বুলা শ্রীলঙ্কা দ্বীপের একদম মাঝে অবস্থিত। শহরটা একেবারেই ছোট। নেহায়েৎই এক মফস্বল শহর। এখান থেকে বড় কোনো ক্রিকেটারও উঠে আসেননি।

অথচ, এখানকার রণগিরি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম রীতিমত চোখ ধাঁধানো। মজার ব্যাপার হল, স্টেডিয়ামটা নির্মিত হয়েছে মাত্র ১৬৭ দিনে। স্টেডিয়ামের বাইরে নেট, সেখানেও আছে ফ্লাড লাইট।

এটা শুধু ডাম্বুলার চিত্র নয়, পাল্লেকেলে আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়াম কিংবা আর প্রেমাদাসা – সব জায়গাতেই একই চিত্র। পাল্লেকেলে কিংবা আর প্রেমাদাসায় সুবিশাল স্যুইমিং পুলও আছে। কিন্তু, বাংলাদেশের হোম অব ক্রিকেট খ্যাত মিরপুর শেরে বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে সেই ব্যবস্থা নেই।

বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি) প্রায়ই অবকাঠামো উন্নয়নের কথা বলে। মিরপুরে স্যুইমিংপুল, খেলোয়াড়দের আধুনিক বাসস্থানের আশ্বাস দেওয়া হয়। কিন্তু, কাগজে কলমে সেটা পাওয়া যায় না। বিসিবির আর্থিক সঙ্গতির কোনো ঘাটতি নেই। এক হাজার কোটি টাকার এফডিআরের কথা প্রায়ই শোনা যায়।

তাহলে অবকাঠামো নির্মানে এত অনীহা কেন? শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটে এত বিনিয়োগের পরই সাফল্য এসেছে। নিজেদের দু:সময় কাটিয়ে কক্ষপথে ফিরেছে তাঁরা। তাঁদের ক্রিকেট ইতিহাসও সমৃদ্ধ। কাউকে অনুসরণ করতে হলে, অস্ট্রেলিয়া-ইংল্যান্ডকে না দেখলেও চলে, প্রতিবেশি শ্রীলঙ্কা থেকেও শেখা যায়।

লেখক পরিচিতি

সম্পাদক

Share via
Copy link