লড়াকু নিশামের ব্যাটে উত্তাল সাগরিকা

বাংলাদেশে নেমেই জানিয়েছিলেন, রংপুর রাইডার্সকে করতে চান চ্যাম্পিয়ন। কিউই অলরাউন্ডার জিমি নিশামের সেই লক্ষ্যেরই যেন একটা প্রামাণ্য চিত্রের চিত্রায়ণ ঘটল বন্দরনগরী চট্টগ্রামে। বিপিএলের চট্টগ্রাম পর্ব সমাপ্তির পথে। গ্যালারি ভর্তি উপচে পড়া দর্শকদের মধ্যে যখন শেষ উচ্ছ্বাসের অপেক্ষা, সেই অপেক্ষারই পূর্ণতা এনে দিলেন তিনি। ঝিমিয়ে পড়া ম্যাচটাকে একটা সজীবতা এনে দিলেন চার, ছক্কার মুর্ছনায়।

সাগরিকায় টস হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ১৯.৫ ওভারে সবকটি উইকেট হারিয়ে স্কোরবোর্ডে ১৫০ রান জমা করেছে রংপুর। স্কোরবোর্ড দেখেই অনুমেয় নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়ে কোনোমতে গড়পড়তা সংগ্রহ পেয়েছে দলটা। আক্ষরিক অর্থে হয়েছেও তাই। ৬৮ রানেই ৫ উইকেট হারিয়ে রীতিমত মান বাঁচানোর লড়াইয়ের সম্মুখে পড়েছিল দলটা। তবে দলের হয়ে মান বাঁচানোর সেই লড়াইটা করে গিয়েছেন জিমি নিশাম।

কিউই এ ব্যাটার এক প্রান্ত আগলে রেখে লড়াই করলেও আরেক প্রান্তে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারিয়েছে দল। নিশামকে কেউই যোগ্য সঙ্গ দিতে পারেননি। তারপরও নিজের ইনিংস বড় করেছেন। চার ছক্কায় কুমিল্লার বোলারদের উপর পাল্টা আক্রমণ করেছন। নিজের ফিফটি পূরণ করে ইনিংস নিয়ে গেছেন ৬৯ পর্যন্ত। তাতেই কোনোমতে দেড়শ ছুঁয়েছে রংপুর রাইডার্স।

এ দিন নিশাম যখন ক্রিজে আসেন, তখন ৪ উইকেট হারিয়ে রীতিমত ধুঁকছিল রংপুর। তবে দলের বিপদের সময়েও যেন নিজের সহজাত খেলা ভুলে যাননি এ ব্যাটার। নিজের চতুর্থ বলেই বের করেন বাউন্ডারি। জিমি নিশামের ব্যাট হাতে ছন্দের পূর্বাভাস মিলে সেখান থেকেই। এরপর রংপুর উইকেট হারিয়েছে ঠিকই। কিন্তু জিমি নিশামের চিরায়ত ব্যাটিং থামেনি। নিয়মিত বিরতিতে বাউন্ডারি বের করে গিয়েছেন।

সাথে ইনিংস বিল্ডআপের কাজটাও নিজের কাঁধে তুলে নেন তিনি। এরপর রান বাড়ানোর লক্ষ্যে সময় বুঝে ছক্কাও হাঁকিয়েছেন। প্রথমে ফোর্ডকে, এরপর নারাইনকে মেরেছেন ছক্কা। তাতেই অল্পরানে গুঁটিয়ে যাওয়ার শঙ্কায় থাকা রংপুর পায় লড়াকু এক সংগ্রহ। সবকটি উইকেট হারালেও এ দিন জিমি নিশাম ছিলেন অপরাজিত। নিজের ৬৯ রানের ইনিংসটি সাজান ৯ চার আর ২ ছক্কায়।

লেখক পরিচিতি

বাইশ গজ ব্যাসার্ধ নিয়ে একটি বৃত্ত অঙ্কন করার চেষ্টা করি...

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link