সেই ২০১৪ সালের পর আর কখনো টেস্টে ইংল্যান্ডকে হারাতে পারেনি শ্রীলঙ্কা। প্রায় এক দশক ধরে চলমান ধারায় ব্যাঘাত ঘটালেন পাথুম নিসাঙ্কা। তার ব্যাটেই উড়ল লংকানদের বিজয় নিশানা। বেশ হেসে খেলে জয় ছিনিয়ে নিয়েছে শ্রীলঙ্কা। ইংল্যান্ডের মাটিতে যা বেশ বিরল।
২০১৪ সালের পর ইংল্যান্ডের বিপক্ষে দশটি টেস্ট ম্যাচ খেলেছে শ্রীলঙ্কা। দশম টেস্টে এসে জয়ের দেখা পেল তারা। অবশ্যই সে কৃতীত্ব পাথুম নিসাঙ্কার প্রাপ্য। তরুণ এই ব্যাটার নিজের সক্ষমতার দারুণ প্রদর্শন ঘটিয়েছেন। সাদা বলের ক্রিকেটে ইতোমধ্যেই নিজেকে পরীক্ষিত সেনানী হিসেবে থিতু করে ফেলেছেন। লংকান এই ব্যাটার ইংল্যান্ডের মাটিতে শুভ্রতার উজ্জ্বল স্মৃতি খোদাই করলেন এদফা।
কেনিংটন ওভালে ইংল্যান্ডকে ১৯৯৮ সালের পর হারাতে পেরেছে শ্রীলঙ্কা। পাথুম নিসাঙ্গাকাই এই জয়ের চালিকা শক্তি হিসেবে কাজ করেছেন। দুই ইনিংসেই তিনি ব্যাট চালিয়েছেন প্রায় ১০০ এর বেশি স্ট্রাইকরেটে। প্রথম ইনিংসে ৬৪ রানে থেমেছিলেন এই ওপেনার।
কিন্তু দ্বিতীয় ইনিংসে দলের জয় নিশ্চিত করেই তবে মাঠ ছেড়েছেন। সে যাত্রায় ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও তুলে নিয়েছেন। এই শতকের পথেও তার রান তোলার গতিতে ভাটা পড়তে দেননি। ১০২.৪১ স্ট্রাইকরেটে ব্যাট চালিয়েছেন। নিজের নামের পাশে যুক্ত করেছেন ১২৪টি রান। শেষ অবধি অপরাজিত থেকেছেন। ১৩ চার ও ২ ছক্কায় সাজানো তার এই ইনিংসই শ্রীলঙ্কার জয়কে সহজ করেছে।
২১৯ রানের টার্গেটে ৮ উইকেট হাতে রেখে জয়ে পেয়েছে দক্ষিণ এশিয়ার প্রতিনিধিরা। ইংল্যান্ডের কন্ডিশনে তাদের বিপক্ষে জয় পাওয়া চাট্টিখানি কথা নয়। প্রায় অসম্ভব একটা কাজকে সম্ভব করেছেন নিসাঙ্কা। তার টেস্ট ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের সুবাদে ইংল্যান্ডের মাটিতে নিজেদের চতুর্থ জয় পেয়েছে শ্রীলঙ্কা।
এমন একটা জয় শ্রীলঙ্কার ক্রিকেটের জন্যে জ্বালানি। কেননা শ্রীলঙ্কার সেই জৌলুসময় ক্রিকেট কোথাও একটা মলিন হয়ে গেছে। দলটা ধুকছে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে। এমন সব জয় চাঙ্গা করবে লংকানদের মনোবল। আর নিসাঙ্কাদের পারফরমেন্স দিচ্ছে সুদিনের আভাস।