আম্পায়ারিংয়ের নামে সার্কাস হয়ে গেল চলমান ইমার্জিং এশিয়া কাপের ম্যাচে। বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কার মধ্যকার ম্যাচটি ছিল অলিখিত কোয়ার্টার ফাইনাল। সেখানে আম্পায়ারিং কৌতুকে মিস হল বাংলাদেশের সাত রান।
তাও এমন একটা সময়ে যখন ওই রানটা হয়ে গেলে ম্যাচটা জিতেও যেতে পারত বাংলাদেশ ‘এ’ দল। ওমানের মাটিতে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে জয়ের জন্য তখন ১৮ বলে ৩৭ রান দরকার বাংলাদেশ দলের।
১২ বলে ২৬ রান করে অপরাজিত আছেন আবু হায়দার রনি। ২০১৬ বিশ্বকাপ খেলা এই ‘বর্ষিয়ান’ পেস বোলারের ইমার্জিং কাপে খেলা নিয়ে প্রশ্ন থাকলেও তিনিই তখন বাংলদেশের আশার একমাত্র বাতি।
১৮ তম ওভারে একজন বাড়তি খেলোয়াড় ছিল সার্কেলের বাইরে। ক্রিকেটের আইন মতে স্বভাবতই সেটা নো বল। আম্পায়ার সেই আইন না মেনে দিলেন ডেড বল, সেই বলে আবার আবু হায়দার হাঁকালেন ছক্কা।
তাতেই বাঁধলো বিপত্তি। বাংলাদেশের ডাগ আউট তখন উত্তপ্ত। অধিনায়ক আকবর আলী, সিনিয়র ক্রিকেটার তাওহীদ হৃদয় কিংবা শামিম হোসেন পাটোয়ারি ছুটে যান ম্যাচ অফিসিয়ালের কাছে। তারা অনেক কিছুই বোঝানোর চেষ্টা করেন, কিন্তু, বাংলাদেশ দলকে আদৌ শান্ত করা যায়নি।
যদিও, আম্পায়ারিংয়ের এই ইস্যু না হলেও কি বাংলাদেশ ‘এ’ দল জিততে পারত কি না, সেই প্রশ্ন থাকছেই। কারণ, শ্রীলঙ্কার ১৬১ রানের জবাবে বাংলাদেশ শেষ অবধি সাত উইকেট হারিয়ে ১৪২ রানে। হারে ১৯ রানে। বিদায় নেয় টুর্নামেন্ট থেকে।
মোহাম্মদ নাঈম শেখ ১৫ বলে ৮, তাওহীদ হৃদয় ১৩ বলে ১২, অধিনায়ক আকবর নয় বলে নয়, শামিম পাটোয়ারি পাঁচ বলে চার আর মাহফুজুর রহমান রাব্বি ১৩ বলে সাত রান করেন। ম্যাচ হারার জন্য এই ইনিংসগুলোই যথেষ্ট!