বাংলাদেশ-পাকিস্তান সিরিজ: নেই বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন

বিশ্বকাপ মিশন শেষ হলেই তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি ও দুই টেস্ট খেলতে ঢাকায় পা দিবে পাকিস্তান দল। বিশ্বকাপের স্কোয়াড নিয়েই আসবে পাকিস্তান। এদিকে পাকিস্তান সিরিজকে সামনে রেখে নেওয়া হয়েছে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত। পূর্বের সিরিজগুলোতে তিন দিনের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন থাকলেও আসন্ন পাকিস্তান সিরিজে থাকবেনা কোনো কোয়ারেন্টাইন। করোনা টেস্টে নেগেটিভ এলেও খেলোয়াড়েরা যোগ দিতে পারবেন অনুশীলনে।

সাম্প্রতিক সময়ে করোনার প্রকোপ অনেকটাই কমে এসেছে। বিশ্বব্যাপী করোনার টিকা দেওয়ায় ধীরে ধীরে করোনার ভয়াবহতা কমে আসছে। পাকিস্তান ও আরব আমিরাত দুই দেশেই এখন করোনার গ্রিন সিগন্যাল চলছে। বাংলাদেশেও করোনায় আক্রান্তের হার বেশ কম। তাই সবদিক বিবেচনায় বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন তুলে দিয়েছে বাংলাদেশ ক্রিকেট বোর্ড (বিসিবি)।

বিসিবির প্রধান চিকিৎসক দেবাশীষ চৌধুরী বলেন, ‘তাঁরা (পাকিস্তান দল) ঢাকায় নামার পরই তাদের করোনা টেস্ট করা হবে। টেস্ট নেগেটিভ আসলেই তারা সাথে সাথে অনুশীলন করতে পারবে। বাংলাদেশ দলের জন্যও কোনো বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টাইন থাকবে না, তবে প্রত্যেককেই করোনার দুই ডোজ টিকে বাধ্যতামূলক দেওয়া থাকতে হবে।   করোনার টেস্টে নেগেটিভ এলে তারাও অনুশীলন শুরু করতে পারবে। সবার জন্যই নিয়ম সমান। স্কোয়াডের বাইরের কাউকে যদি দলে নিতে হয় সেক্ষেত্রেও একই নিয়ম মানা হবে। করোনা টেস্টের রেজাল্ট পেতে মাত্র ১২ ঘন্টা সময় লাগবে।’

এদিকে করোনার প্রকোপ কমে আসায় প্রায় দেশেই দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়া হচ্ছে। চলতি টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও আরব আমিরাতে দর্শকরা সুযোগ পেয়েছেন মাঠে বসে খেলা দেখার। সেদিক বিবেচনায় ও করোনা অনেকটাই নিয়ন্ত্রণে থাকায় পাকিস্তান সিরিজ থেকেই বিসিবি চিন্তা করছে দর্শকদের মাঠে প্রবেশের অনুমতি দেওয়ার

ছাড়া হবে ৫০% টিকেট। তবে প্রত্যেক দর্শককেই টিকেট কেনার সময় করোনা টিকার সনদ বাধ্যতামূলক ভাবে দেখাতে হবে। করোনার সনদ ছাড়া কাউকেই টিকেট দেওয়া হবে না বলে জানানো হয় বিসিবি থেকে। তবে ছোট বাচ্চাদের ক্ষেত্রে এই নিয়ম প্রযোজ্য হবে না বলেও জানা যায়।

১৬ নভেম্বর বাংলাদেশে এসে পৌঁছাবে পাকিস্তান দল। এরপর মিরপুরে তিন ম্যাচ টি-টোয়েন্টি সিরিজ শুরু হবে ১৯ নভেম্বর থেকে। ১৯ তারিখ প্রথম, ২০ ও ২২ তারিখ যথাক্রমে দ্বিতীয় ও তৃতীয় টি-টোয়েন্টি ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। সেখান থেকে ২৬ নভেম্বর চট্রগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত হবে প্রথম টেস্ট। এরপর আবার ৪ ডিসেম্বর মিরপুরে দ্বিতীয় টেস্টের মধ্য দিয়ে শেষ হবে পাকিস্তানের বাংলাদেশ সফর।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link