শর্ট বলের বিপক্ষে শ্রেয়াস আইয়ার খানিকটা নড়বড়ে এমন তথ্য বোধহয় সব ক্রিকেটপ্রেমীর কাছেই রয়েছে। মাঝের ওভারগুলোতে তাঁকে আউট করতে তাই বাউন্সারের সাহায্য নেয় অনেক বোলার। তবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে দেখা গিয়েছে ভিন্ন চিত্র, দারুণ সব পুল শট দেখা গিয়েছে তাঁর কাছ থেকে।
তাই তো ম্যাচ পরবর্তীতে বাউন্সারে সমস্যা কি না এমন প্রশ্নে রেগে যান এই ব্যাটার। তিনি বলেন, ‘আমার জন্য সমস্যা! কি বোঝাতে চাচ্ছেন? বাউন্সার আমাকে অস্বস্তিতে ফেলে? আপনি দেখেছেন কয়টা পুল শট খেলেছি? বিশেষ করে যেগুলো চার হয়েছে।’
আইয়ার আরো যোগ করেন, ‘আপনি যখন হিট করতে যাবেন তখন যেকোনো বলেই আউট হওয়ার সম্ভাবনা থাকে। ফুলার লেন্থ ডেলিভারিতে দুই তিনবার আউট হলেই আপনারা বলা শুরু করবেন, ওহ সে ইনসুইং, সিম মুভমেন্ট খেলতেই পারে না।’
বাউন্সারের বিপক্ষে তাঁর সমস্যা রয়েছে এমন মনোভাব সৃষ্টির জন্য মিডিয়াকে দায়ী করছেন এই তরুণ। তিনি বলেন, ‘আমরা যেকোনো বলে আউট হতে পারি। আপনরা এমন একটা পরিবেশ সৃষ্টি করেছেন যে, আমি শর্ট বল খেলতে পারি না। মানুষও আপনাদের শেখানো কথা নিয়ে আলোচনা করছে।’
ডানহাতি এই ক্রিকেটার বলেন, ‘আমি মুম্বাই থেকে উঠে এসেছি, সেখানে বল সবচেয়ে ভাল বাউন্স হয়। তাই এসব ডেলিভারি কিভাবে সামলাতে হয় আমার জানা আছে। হ্যাঁ, মাঝে মাঝে হয়তো পরিকল্পনা কাজে লাগে না। কিন্তু আমার সামর্থ্যের ওপর পুরো বিশ্বাস রয়েছে।’
তিনি মনে করেন, যতদিন এই আত্মবিশ্বাস তাঁর ভিতর থাকবে ততদিন তিনি স্বাভাবিক খেলাটা খেলে যাবেন। এতে যদি শর্ট বলে আরো কয়েকবার আউট হন তাতে কিছু আসে যায় না।
তবে কি ‘বাউন্স বনাম আইয়ার’ পুরোটাই সংবাদমাধ্যমের সৃষ্টি – সেটার সৃষ্টি সোজাসাপ্টা ‘হ্যাঁ’ বলে দিয়েছেন শ্রেয়াস। তাঁর দৃঢ় বিশ্বাস এটা স্রেফ গুজব। তিনি বলেন, ‘আমি জানি, এই গুজব সর্বত্র ছড়িয়ে আছে এবং আপনারা সেই গুজবগুলো নিয়ে কথা বলতে থাকবেন। কিন্তু আমার নিজের উপর, আমার দক্ষতার উপর ভরসা আছে। আমি যেকোন ডেলিভারি খেলার জন্য যথেষ্ট অভিজ্ঞ এখন।’
ভারতের পরের ম্যাচ দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে; দলটির ব্যাটারদের পাশাপাশি মার্কো ইয়ানসেন, কাগিসো রাবাদাদের পেস আক্রমণভাগও উড়ন্ত ফর্মে আছে। তাঁদের বিপক্ষে কতটা সাবলীল থাকতে পারেন নাইট রাইডার্স ক্যাপ্টেন সেটাই এখন দেখার বিষয়।