ভারতের বিপক্ষে তিনি করেন ১৫ বলে ১৩ রান। এর আগে অস্ট্রেলিয়া বিপক্ষে করেন মোটে দুই রান। দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ফুলটস থেকে ছক্কা হাকাতে ব্যর্থ হন। শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে তিনি ম্যাচ জিতিয়েছেন বটে, সেখাওে তাঁর ভূমিকা নিয়ে আছে প্রশ্ন।
আফগানিস্তানের বিপক্ষে যখন নেট রান রেটের প্রশ্ন ছিল, তখন তিনি নয় বলে করেছেন ছয় রান। তিনি পুরোটা সময় খেলেছেন গা বাঁচিয়ে। যেন দলের লক্ষ্য নয়, নিজে কয়েকটা রান করে যেতে পারলেই হল। এটা কেবল একটা ম্যাচ নয়, পুরো বিশ্বকাপেরই চিত্র।
তিনি দলের মূল ফিনিশার। অথচ, সাত ম্যাচে রান করেছেন মাত্র ৯৫। স্ট্রাইক রেট ৯৪-এর সামান্য বেশি। এত সব পরিসংখ্যান, আর এত সব নেতিবাচক আলোচনা শুধু একটা কথাই বলতে চায় – মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ মুক্ত দল চাই!
সেই ২০২২-২৩ সালেই মাহমুদউল্লাহ রিয়াদে বিদায় ঘণ্টা বেজে গিয়েছিল। সেখান থেকে ফিরে তিনি ২০২৩ সালের বিশ্বকাপও খেলেছেন বাংলাদেশের হয়ে। বিশ্বকাপে বাকিদের ব্যর্থতার মাঝে রিয়াদের ব্যাট সরব হয়েছিল। তিনি রান করে প্রশংসা কুড়ান, দলে জায়গাটা ‘দীর্ঘ মেয়াদে’ ফিরে পেয়েছিলেন।
কিন্তু, টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে আবারও সেই পুরনো দৃশ্য। রিয়াদ নিজেকে হারিয়ে খুঁজছেন। যেসব কারণে রিয়াদকে ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের আগে এক রকম নির্বাসনে পাঠানো হয়েছিল, সেই কারণগুলো আবারও ফিরে আসছে।
তিনি ‘ফিনিশার’। আক্ষরিক অর্থেই তিনি ম্যাচ ফিনিশ করে ফিরছেন সাজঘরে। হ্যাঁ, বাংলাদেশের সকল আশা-ভরসা ফিনিশ হচ্ছে তাঁর ব্যাটে। তাঁর ব্যাট, শরীরি ভাষা বারবার বলতে চাইছে – অনেক তো হল, এবার ক্যারিয়ারটাই ফিনিশ হয়ে গেলে হয়। এভাবে গা বাঁচিয়ে ক্রিকেট খেলা যায় না।
রিয়াদ হয়ত আগামী বছরের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি পর্যন্তই খেলবেন। কিন্তু এতদিন অপেক্ষা করার সুযোগ নেই। একটু আগেই অবসর নিয়ে ফেললে রিয়াদের তেমন কোনো ক্ষতি হবে না। বরং রিয়াদ খেললে ক্ষতি হবে বাংলাদেশের। নিজের প্রতি সৎ থাকলে বাংলাদেশ দলের এমন ক্ষতি রিয়াদের করতে দেওয়া উচিৎ না।
হ্যাঁ, রিয়াদের বিকল্প কে? – এমন প্রশ্ন তুলবেন অনেকেই। অনেকে বলবেন, রিয়াদের মত অভিজ্ঞরাই পারছেন না, তরুণরা পারবেন কি করে? হ্যাঁ, সেই ঝুঁকি থাকছেই। তবে, এটাও ঠিক যে রিয়াদের জায়গায় অন্য যাকেই নেওয়া হোক না কেন – সংকট কোনো ভাবেই এর চেয়ে বেশি হবে না।