কার্যত রান আউটই ছিলেন নূর আহমেদ। আজমত উল্লাহ ওমরজাই এক রান নিয়েছেন। রান শেষও করেছিলেন নূর আহমেদ। কিন্তু বল ডেড হওয়ার আগেই ক্রিজ ছাড়েন তিনি। জশুয়া ইংলিশ স্ট্যাম্পের বেল ফেলে দেন।
আপিল করেছিলেন জশুয়া ইংলিশ। তখন রান বাড়িয়ে নিচ্ছিল আফগানিস্তান। একটা উইকেট পেলে অস্ট্রেলিয়া দারুণ ভাবে ম্যাচে ফিরতে পারত। আম্পায়ার ছিলেন কুমার ধর্মসেনা। তিনি আপিলের প্রেক্ষিতে থার্ড আম্পায়ারের শরণাপন্ন হন।
আফগান শিবিরে তখন শঙ্কার ছায়া। তবে কি নিজের বোকামির মাশুর গুণবেন নূর আহমেদ? ফিরে আসবেন সাজঘরে? কি সিদ্ধান্ত জানাবেন থার্ড আম্পায়ার? টেলিভিশন রিপ্লে থেকে দেখা যায় বল ডেড হওয়ার আগেই স্ট্যাম্প ভেঙেছেন ইংলিশ। তবে কি লাল বাতিই জ্বলে উঠবে?
কিন্তু, ঠিক তখনই দৃশ্যপটে হাজির স্টিভেন স্মিথ। তিনি বিষয়টা শুনে আপিল আবেদন ফিরিয়ে নিলেন। হাত নাড়িয়ে বলে দিলেন, না এভাবে আউট করার দরকার নেই। স্বস্তি ফিরে আসল আফগানিস্তান শিবিরে। ক্রিকেট যে ভদ্রলোকের খেলা সেটা আরেকবার প্রমাণ করলেন স্টিভেন স্মিথ। কে বলবে, এই স্মিথই দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে স্যান্ডপেপার কেলেঙ্কারির অন্যতম হোতা ছিলেন!
সে সব দিন হয়েছে বাসী। প্যাট কামিন্সের জায়গায় স্রেফ ভাগ্যক্রমে আবারও অধিনায়ক হয়েছেন স্টিভেন স্মিথ। এবার আগের সব জঞ্জাল মুছে নতুন করেই শুরু করলেন তিনি। ভদ্রতার নতুন এক অজি অধ্যায় লিখলেন। তাতে প্রতিপক্ষ বাড়তি কিছু রানও করে ফেলে তাতেও ক্ষতি নেই। অজিত্বের গ্রেটনেস ভদ্রতায়, ক্রিকেটীয় আগ্রাসনে, ছলনায় নয়।