এক ভি চৌকা নেহি মারা, লেকিন ৮৭ বল খেল লিয়ে!

ভারত-পাকিস্তানের প্রতিদ্বন্দ্বীতা যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। রেকর্ড, সম্মান আর তর্ক-বিতর্কের মাঝেই শেষ হয় এই দু দলের প্রতিটা ম্যাচ। আর এসব তর্ক- বিতর্কই ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয়।  

ভারত-পাকিস্তানের দ্বৈরথ যুগ যুগ ধরেই চলে আসছে। রেকর্ড, সম্মান আর তর্ক-বিতর্কের মাঝেই শেষ হয় এই দু’দলের প্রতিটা ম্যাচ। আর এসব তর্ক- বিতর্কই ম্যাচের উত্তেজনা বাড়িয়ে দেয় বহুগুণে।

তেমনই এক ঘটনা ঘটে ২০০৫ সালে। সেবার ভারত সফরে গিয়েছিল পাকিস্তান। দ্বিতীয় টেস্টে কলকাতার ঐতিহাসিক ইডেন গার্ডেন্স স্টেডিয়ামে মুখোমুখী হয় উভয় দল। দ্বিতীয় ইনিংসে ৩৯৪ রানের টার্গেটে ব্যাট করছিল পাকিস্তান।

ম্যাচটি স্বাগতিকদের জন্য বেশ এক স্বস্তির কারণ হয়ে ওঠে। কেননা, ১১৫ রান করতে ৪ উইকেট হারায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ  ইউসুফ তখন একাই দলের হাল ধরার চেষ্টা করতে থাকেন। ধীর গতিতে চালিয়ে যেতে থাকেন তাঁর ইনিংস। ৮৭ বলে করেন ২২ রান। তাঁর এই ধীর গতির ব্যাটিং শর্ট লেগ অঞ্চলে দাঁড়িয়ে থাকা মোহাম্মদ কাইফের দৃষ্টি এড়ায়নি। কেননা, ৮৭ বলের ইনিংসে একটিও চার মারতে পারেননি ইউসুফ।

তাই কাইফ হাসতে হাসতে বলে, ‘এক ভি চৌকা নেহি মারা, লেকিন ৮৭ বল খেল লিয়ে।’ অর্থাৎ, ৮৭ বল খেল ফেলেছ অথচ একটি চারও মারতে পারোনি। ভড়কে যায় মোহাম্মদ ইউসুফের স্থির মানসিকতা। কয়েক বল পরেই অনিল কুম্বলের বলে গৌতম গম্ভীরের হাতে ক্যাচ তুলে দিয়ে আউট হয়ে যান ইউসুফ। আর এই উইকেটের ফলেই ভেঙে যায় পাকিস্তানের ব্যাটিং লাইন আপ। পাকিস্তান গুটিয়ে যায় ১৯৫ রানে।

অর্থাৎ কাইফের পরিকল্পনা সার্থক হয়। প্রতিপক্ষের আত্মবিশ্বাস গুড়িয়ে দিতে স্লেজিংয়ের আশ্রয় নেয় অনেক খেলোয়াড়ই। আর ভারত -পাকিস্তানের ম্যাচের অন্যতম রসদ হল স্লেজিং। মাঠে খেলোয়াড়দের মাঝে চলে স্লেজিং আর মাঠের বাইরে তা উপভোগ করেন দর্শকরা। তাই ভারত-পাকিস্তানের ম্যাচ মানেই বাড়তি উত্তেজনা। এই উত্তেজনামূলক বিনোদনই উপভোগ করে ক্রিকেট প্রেমীরা।

Get real time updates directly on you device, subscribe now.

আরও পড়ুন
মন্তব্যসমূহ
Loading...