নিজেদের ক্রিকেট ইতিহাসের সপ্তম ফাইনালে পৌঁছে গেছে নিউজিল্যান্ড। রাজা রবার্ট ব্রুস সপ্তম দফায় যুদ্ধ জয়লাভ করেছিলেন। সেটাই হতে পারে ব্ল্যাকক্যাপসদের অনুপ্রেরণা। অবশ্য তাদের অনুপ্রেরণায় দু’খানা শিরোপা অবশ্য রয়েছে।
সেই ২০০০ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি জিতেছিল তারা। এরপর দীর্ঘ অপেক্ষার প্রহর গুণে ২০২১ সালে বিশ্ব টেস্ট চ্যাম্পিয়নশীপের শিরোপা ঘরে তুলেছিল দলটি। কিন্তু সাদা বলের ক্রিকেটে সফলতার দেখা আর পাওয়া যায়নি। মাঝে তো কতবার হৃদয়ে হয়েছে রক্তক্ষরণ। ২০০৯ সালে চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে গিয়ে হারতে হয়েছে তাদের।
এরপর ২০১৫ ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০১৯ এর ওয়ানডে বিশ্বকাপ, ২০২১ এর টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ফাইনালে উঠেও পরাজিতদের কাতারেই থেকেছে তাসমান পাড়ের ভদ্রলোকেরা। প্রায় প্রতি আসরেই তারা শিরোপার দাবি নিয়েই হাজির হয়। কিন্তু শিরোপাতে আর হাত রাখা হয় না।
২০১৯ সালের সেই রোমাঞ্চকর ফাইনালের কথা নিশ্চয়ই ভুলে যাওয়ার নয়। ফাইনালের মঞ্চে সুপার ওভার হয়েছে। সেখানেও ইংল্যান্ড ও নিউজিল্যান্ড ছিল সমতায়। স্রেফ বাউন্ডারির হিসেবে সেদিন শিরোপা বঞ্চিত হয়েছিল কেন উইলিয়ামসনের দল। ঠিক কতটা দুর্ভাগা হলে এমনটা ঘটে!
কেন উলিয়ামসনের সেই বিষাদ মাখা ছবিতে যেন সেদিন ফুটে উঠেছিল লিওনেল মেসির সেই ২০১৪ বিশ্বকাপ ফাইনালের ছবিটি। এরপর অবশ্য মেসি আকাশ পানে তুলে ধরেছিলেন বিশ্বকাপ শিরোপা। বিশ্বকাপ না হোক ক্যারিয়ারের শেষ বেলায় কেন উইলিয়ামসন নিশ্চয়ই একটা শিরোপা উঁচু করে ধরতে চাইবেন।
তবে প্রতিপক্ষ যে টিম ইন্ডিয়া। রোহিত শর্মার দলটা অপ্রতিরোধ্য। ভারসাম্য আর স্কোয়াড সেই সাথে কন্ডিশন, সবই রয়েছে ভারতের পক্ষে। এমন দলকে হারিয়ে শিরোপা জেতা ভীষণ ভীষণ কঠিন। তবে মিশেল স্যান্টনার নিশ্চয়ই ছক কষতে শুরু করেছেন। ভারতের তুখোড় ব্যাটিং লাইনআপকে স্বল্পতেই আটকে ফেলতে হবে। সেখানেই শেষ নয়।
স্বল্পতে ভারতকে আটকে রাখার পাশাপাশি তাদের দুর্ধর্ষ বোলিং লাইনআপকেও সামলাতে হবে। নিউজিল্যান্ডের জন্যে তাই অগ্নিপরীক্ষাই অপেক্ষমান। আরও একবার কি তারা পরাজিত সৈনিকের মত ছাড়বেন বিশ্ব ক্রিকেটের মঞ্চে, নাকি এবার লেখা হবে কিউইদের জয়গান?