ভারত বধের ছকে, নিউজিল্যান্ডের পাঁচ সেনানী

২০০০ সালের নাইরোবির স্মৃতি কি ফিরবে ২০২৫ সালের দুবাইতে? নাকি বদলে যাওয়া পৃথিবীর মতই বদলে যাবে দৃশ্যপট? ২৫ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। মাঝে ঘটে গেছে কতকিছু।  আমুলে বদলে গেছে ক্রিকেট দুনিয়া। এত বছর পরে এসে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে সেই দুই দল।

২০০০ সালের নাইরোবির স্মৃতি কি ফিরবে ২০২৫ সালের দুবাইতে? নাকি বদলে যাওয়া পৃথিবীর মতই বদলে যাবে দৃশ্যপট? ২৫ বছর পর আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ড। মাঝে ঘটে গেছে কতকিছু।  আমুলে বদলে গেছে ক্রিকেট দুনিয়া। এত বছর পরে এসে আবারও চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফির ফাইনালে মুখোমুখি হচ্ছে সেই দুই দল।

সেবার নিউজিল্যান্ডের কাছে শিরোপা হেরেছিল ভারত। এবার ২০২৫-এ নিশ্চয়ই সেই প্রতিশোধ নিতে চাইবে ভারত। কিন্তু পথটা মোটেও সহজ হবে না। নিউজিল্যান্ডের বর্তমান দলটা বেশ ভারসাম্যপূর্ণ। এবং এই দলটা পারফরমারে ঠাসা। তেমনই কয়েকজন পারফরমারের দিকে রাখতে হব বাড়তি নজর।

  • রাচিন রবীন্দ্র 

এবারের চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফিতে দুই খানা সেঞ্চুরি করে ফেলেছেন রাচিন রবীন্দ্র। এবারের আয়োজনে তিনি ব্যতীত আর কেউই এই কীর্তি গড়তে পারেননি। তিনি ভারতের জন্যে শঙ্কার কারণ হতে পারেন। নিউজিল্যান্ডের শিরোপা জয়ের জন্যে রাচিনের ব্যাটে রান পাওয়া ভীষণ জরুরি। ওপেনিংয়ে তিনি বড় রান পেলে বাকি কাজটা সহজ হয়ে যাবে নিউজিল্যান্ডের জন্যে। তাছাড়া ভারতের ডানহাতি ব্যাটারদের বিপরীতে তার বা-হাতি স্পিন বোলিংটা কাজে দেবে।

  • কেন উইলিয়ামসন

সেমিফাইনালে দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে গুরুত্বপূর্ণ জুটির সঙ্গী ছিলেন কেন উইলিয়ামসন। ব্যক্তিগত সেঞ্চুরিও তিনি তুলে নিয়েছিলেন। তাছাড়া খুব সম্ভবত এটাই হতে চলেছে তার শেষ টুর্নামেন্ট। তিনি নিঃসন্দেহে জিততে চাইবেন যেকোন মূল্যে। নিজেকে নিঙড়ে দিবেন। তাছাড়া দুবাইয়ের উইকেট নিউজিল্যান্ডের ব্যাটিংয়ের ঢাল বনে যেতে পারেন উইলিয়ামসন।

  • ড্যারিল মিশেল

এখনও ঠিক সেই অর্থে নিজেকে মেলে ধরতে পারেননি ড্যারিল মিশেল। কিন্তু নিউজিল্যান্ডের এই স্কোয়াডে পাওয়ার হিটার হিসেবে তিনি রয়েছেন। ভারতীয় বোলারদের তোপের মুখে দাঁড়িয়ে পালটা জবাব দেওয়ার সক্ষমতা রয়েছে মিশেলের। মারকাটারি ব্যাটিংয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরিয়ে দিতে পারেন তিনি যেকোন মুহূর্তে।

  • গ্লেন ফিলিপস 

ফাইনালে ভারত ও নিউজিল্যান্ডের মধ্যকার পার্থক্য খুব সামান্যই। দুই দলই ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিংয়ে দূর্দান্ত। তবে গ্লেন ফিলিপস যেন অন্য মানব। তিন ডিপার্টমেন্টেই সমানতালে পারফরম করতে পারেন তিনি। ইনিংসের শেষের দিকে ঝড়ো ইনিংস খেলার সক্ষমতা রয়েছে। বল হাতেও ইকোমিক্যাল বোলিং করতে জানেন। আর ফিল্ডিংয়ে তিনি তো রীতিমত বাজপাখি। গ্লেন ফিলিপসও বনে যেতে পারেন ফাইনালে নিউজিল্যান্ডের এক্স ফ্যাক্টর।

  • মিশেল স্যান্টনার 

একটা নিরব চরিত্র মিশেল স্যান্টনার। তিনি লোকচক্ষুর আড়ালে থেকে যান। কিন্তু ফাইনালের মঞ্চে তিনিও কেড়ে নিতে পারেন আলো। দুবাইয়ের উইকেটে তার স্পিন হতে পারে ভারতের জন্যে বিষাক্ত। উইকেট শিকারের নেশায় তাকে পেয়ে বসলে তা ভারতের জন্যে হতে পারে অশনি সংকেত। তবে নিরবেও তিনি ক্ষতি করে দিতে পারেন, ভারতের রানের নদীকে ধু ধু বালুচর বানিয়ে ফেলার সক্ষমতা রয়েছে তার।

Share via
Copy link