টানা চার ম্যাচে হেরে সেমিফাইনালে যাওয়ার সহজ কাজটা কঠিন করে ফেলেছিল নিউজিল্যান্ড। তবে ডু অর ডাই ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে দিয়ে সেই কঠিন কাজটাই সম্পূর্ণ করলো তাঁরা। লঙ্কানদের বিপক্ষে চার উইকেট হাতে রেখে জয় তুলেছে কেন উইলিয়ামসনের দল। তাই তো বড় কোন অঘটন না ঘটলে তাঁদের শেষ চারে খেলা নিশ্চিত।
আগে ব্যাট করতে নেমে শুরুতেই কিউই পেসারদের তোপের মুখে পড়তে হয় শ্রীলঙ্কার ব্যাটারদের। টিম সাউদির ওভারেই ফিরে যান ইনফর্ম পাথুম নিশাঙ্কা। সেই রেশ কাটতে না কাটতেই একই ওভারে আউট হন কুশল মেন্ডিস আর সাদিরা সামারাবিক্রমা। চারিথ আসালঙ্কাও যেতে পারেননি দুই অঙ্কের ঘরে।
তবে ব্যতিক্রম ছিলেন কুশল পেরেরা; কাউন্টার এটাক করে রান তুলেছেন টি-টোয়েন্টি মেজাজে। ইনিংসের অষ্টম ওভারেই পূর্ণ করেন হাফসেঞ্চুরি; কিন্তু ২৮ বলে ৫১ রানে থামতে হয় তাঁকেও। ফলে ভারত ম্যাচের পর আরো একবার পাওয়ার প্লেতে পাঁচ উইকেটের পতন দেখে লঙ্কানরা।
পরবর্তীতে দলটির মিডল অর্ডার প্রতিরোধ গড়ার চেষ্টা করলেও ব্যর্থ হয় সবাই। অবশ্য ১১৩ রানে আট উইকেট হারিয়ে লজ্জাজনক স্কোরের অপেক্ষায় থাকা শ্রীলঙ্কার মান কিছুটা হলেও বাঁচিয়েছেন মাহিশ থিকসানা। নয় নম্বরে নেমে করেছেন ৩৮ রান, এছাড়া মাধুশাঙ্কার ব্যাট থেকে এসেছে ১৯। তাতেই ১৭১ রান করতে পেরেছে মেন্ডিসের দল।
অল্প রানের টার্গেট, দুই ইনফর্ম ওপেনারের উপর তাই চাপ সৃষ্টি করতে পারলেন না লঙ্কান পেসাররা। ডেভন কনওয়ে আর রাচিন রবীন্দ্রের দারুণ ব্যাটিংয়ে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার আশাও শেষ হয়ে যায় দলটির। এই দুই ব্যাটার প্রথম দশ ওভারেই বোর্ডে জমা করেন ৭৩ রান।
যদিও পরপর দুই ওভারে আউট হন তাঁরা, দুজনেই হাতছাড়া করেন ফিফটির সুযোগ। তখন থেকেই নিয়মিত বিরতিতে উইকেট তুলতে শুরু করেন ম্যাথুস, থিকসানারা। কিন্তু ততক্ষণে দেরি হয়ে গিয়েছে; ড্যারেল মিশেলের ৪৩ রানে ভর করে জয়ের দুয়ারে পৌঁছে যায় ব্ল্যাকক্যাপসরা। তবে শেষ দিকে আনুষ্ঠানিকতা সারতে হয় গ্লেন ফিলিপস আর টম লাথামকে।
এই পরাজয়ে শ্রীলঙ্কার চ্যাম্পিয়ন্স ট্রফি খেলার সম্ভাবনা ক্ষীণ হয়ে গিয়েছে অনেকটা। একই সাথে বাংলাদেশের সম্ভাবনাও বেড়েছে; অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে খুব বড় ব্যবধানে না হারলেই টাইগারদের দেখা যাবে আট দলের সেই টুর্নামেন্টে। অবশ্য সেজন্য নেদারল্যান্ডস বা ইংল্যান্ডের মধ্যে যেকোনো এক দলকে অন্তত হারতে হবে।