আফগান রূপকথার পথে তখনো বাধা হয় মাঠে দাঁড়িয়ে জো রুট, যেন এক অবিনশ্বর প্রাচীর। ১২০ রানের মহাকাব্যিক ইনিংসে ইংল্যান্ড তখনো টিকে থাকার আশা জাগিয়ে রেখেছে। কিন্তু আফগান অধিনায়ক, আজমতুল্লাহ ওমরজাইয়ের হাতে বল তুলে দিলেন—যেন এক চূড়ান্ত যুদ্ধের শেষ আহবান। যেন বলতে চাইলেন, “আরও একবার লড়াই করো, ইতিহাসের নাম লিখে দাও।”
ওমরজাই তখন যুদ্ধের ময়দানে নেমে আসা এক মহাবীর। দৃষ্টিতে অদম্য তেজ, হাতে আগুনের গোলা। এই লড়াই কেবল ম্যাচ জেতার নয়, এই লড়াই আফগানিস্তানের রূপকথা বাঁচিয়ে রাখার।
শান্ত অথচ ভয়ংকর নিখুঁত এক ডেলিভারিতে ফিরিয়ে দিলেন ইংল্যান্ডের শেষ আশাটুকু। রুট ফিরে গেলেন, আফগানিস্তানের আকাশে উঠল বিজয়ের আগুন। কিন্তু এখানেই কি শেষ? না, ওমরজাই আরও চেয়েছিলেন। একে একে ফিরিয়ে দিলেন ওভারটনকে, উডকে।
যেন এক ঝড়ে তছনছ হয়ে যাচ্ছে ইংল্যান্ডের লড়াই! যেমন করেই ফিরিয়ে দিয়েছিলেন বাটলারকে, ফিরিয়ে দিয়েছিলেন ফিল সল্টকে। ৯.৫ ওভারে ৫ উইকেট, ৫৮ রান—ইংল্যান্ডের স্বপ্নের দাফন লিখলেন একাই।
তারও আগে ব্যাট হাতে যখন আফগান ইনিংস হারিয়ে যাচ্ছিল, হাশমতুল্লাহ শাহিদির মন্থর ইনিংস যখন গতি হারাচ্ছিল, তখনো দাঁড়িয়েছিলেন ওমরজাই! ৩১ বলে ৪১ রান, এক চারের সাথে তিনটি ছয়। যেন এক পাগলপারা যোদ্ধা, যিনি জানেন—পিছু হটার কোনো পথ নেই।
এমন পারফরম্যান্স কি শুধুই একটি ম্যাচ জেতার গল্প? না, এটি আফগানিস্তানের ক্রিকেট রূপকথার এক নতুন অধ্যায়। একবার তারা হারিয়েছিল পাকিস্তানকে, একবার তারা থামিয়েছিল অস্ট্রেলিয়াকে। আজ থামিয়ে দিলো ইংল্যান্ডকে। আজমতুল্লাহ ওমরজাই বুঝিয়ে দিলেন—লড়াইটা এভাবেই করতে হয়!