টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে বাংলাদেশের সবচেয়ে বড় সমস্যার জায়গাটা ওপেনিং পজিশন। ওপেনাররা ইনিংস বড় করতে পারেন না, পাওয়ার প্লেতে অধিকাংশ সময় ফিরে যান সাজঘরে। আসন্ন সিরিজেও তাই তো উঁকি দিচ্ছে সেই ভয়টা, কতটুকু ভরসা জোগাবেন সৌম্য-শান্তরা?
আসন্ন টি-টোয়েন্টি সিরিজকে সামনে রেখে বাংলাদেশ দলের অনুশীলন চলছে। আরব আমিরাত সফরের আগে নেটে দীর্ঘ সময় ধরে কাজ করেছেন দুই ব্যাটার সৌম্য সরকার এবং নাজমুল হোসেন শান্ত। উদ্দেশ্যটা পরিষ্কার — বড় শট খেলাটাই মূল লক্ষ্য তাঁদের।
এবারের স্কোয়াডে বাংলাদেশের পাঁচজন ওপেনার রয়েছেন। সৌম্য এবং শান্তও আছেন সেখানে। তবে সৌম্য সরকারের জায়গাটা পাকাপোক্ত হলেও প্রশ্ন রয়েছে শান্তকে নিয়ে। টি-টোয়েন্টিতে শান্তর পরিসংখ্যান কিংবা মেন্টালিটি কোনটাই চলার মতো না।
ক্যাপ্টেনসি ছাড়তে হয়েছে তবে দলে অভিজ্ঞতার দোহাই দিয়ে স্কোয়াডে আছেন। নেটে তাই তো খোলস ছেড়ে বের হওয়ার চেষ্টা করেছেন, দেখা গেছে বিগ হিটিং প্র্যাকটিস করতে। অন্যদিকে সৌম্য সরকারের পাওয়ার হিটিং অ্যাবিলিটি টি-টোয়েন্টিতে সবসময় তাঁকে আলোচনায় রাখে। তবে ব্যাট হাতে সেই প্রত্যাশা মেটাতে কতটুকু পেরেছেন তিনি?
সর্বশেষ খেলা ১০টি টি-টোয়েন্টি ম্যাচের পরিসংখ্যান বলছে—ব্যাট হাতে করেছেন সর্বমোট ১৮৬ রান। সর্বোচ্চ স্কোর ৪৩, ব্যাটিং গড় ২০.৭। দ্রুত রান করার জন্য আলোচিত হলেও শেষ ১০ ইনিংস মিলিয়ে তাঁর স্ট্রাইক রেট মাত্র ১২০।
প্লেয়ারদের পরিসংখ্যান তাই তো ভোগাচ্ছে বাংলাদেশ দলকেও। বিশেষ করে ওপেনিং জুটি রীতিমতো ধুঁকছে। শেষ ১০ ইনিংসে নেই কোনো ফিফটি-প্লাস পার্টনারশিপ, সর্বোচ্চ রান ৪৪। অধিকাংশ সময় পাওয়ার প্লেতেই উইকেট হারিয়ে চাপে পড়ে যায় বাংলাদেশ। আর এর মূল কারণ ওপেনিং থেকে রান বের করতে না পারা।
আধুনিক ক্রিকেটে ম্যাচের মোমেন্টাম শিফট করে ওপেনারদের পাওয়ার-প্যাক্ট ইনিংস। আর এখানেই পিছিয়ে আছে বাংলাদেশ, তাই তো দিনশেষে ফলাফলটাও আসে না নিজেদের পক্ষে। এ সমস্যার সমাধান তবে কি? উত্তরটা এই সৌম্য সরকারদের পারফর্ম করা।