মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স না চেন্নাই সুপার কিংস, ওপেনিং জুটিতে কার দাপট?

আইপিএলের ১৯তম আসর শুরু হতে এখনও বেশ কিছুটা সময় বাকি। কিন্তু নিলামের পর থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রে একটাই প্রশ্ন - দল গঠনে কোন দল এগিয়ে, কোন দল পিছিয়ে? আইপিএলের দুই সফলতম দল চেন্নাই সুপার কিংস আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর ওপেনিং জুটি নিয়ে থাকছে খেলা ৭১ এর আজকের আয়োজন।

আইপিএল নিলামের পর থেকেই ক্রিকেটপ্রেমীদের আলোচনার কেন্দ্রে একটাই প্রশ্ন – দল গঠনে কোন দল এগিয়ে, কোন দল পিছিয়ে? আইপিএলের দুই সফলতম দল চেন্নাই সুপার কিংস আর মুম্বাই ইন্ডিয়ান্স এর ওপেনিং জুটি নিয়ে থাকছে খেলা ৭১ এর আজকের আয়োজন।

মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের বড় শক্তিমত্তা হলো তাদের হাতে বিকল্পের প্রাচুর্য। ওপেনিংয়ে রোহিত শর্মা, রায়ান রিকেলটন ও কুইন্টন ডি কক – এই তিন নামই আলাদা করে ম্যাচের রং বদলে দেওয়ার ক্ষমতা রাখে।

রোহিত শর্মা নামটি মুম্বাইয়ের সাথে ওতপ্রতভাবে জড়িয়ে আছে। গত আসরেও ১৫ ইনিংসে প্রায় ১৫১ স্ট্রাইকরেটে ৪১৮ রান করেন রোহিত। আন্তর্জাতিক ক্রিকেটেও ব্যাট হাতে দারুণ ছন্দে রয়েছেন রোহিত।

রায়ান রিকেলটন ছিলেন আইপিএল ২০২৫ এ মুম্বাইয়ের সবচেয়ে উজ্জ্বল সংযোজনগুলোর একটি। মাত্র ১০ ইনিংসে ৩৮৮ রান, স্ট্রাইক রেট ১৫০.৯৭ – পাওয়ারপ্লেতে তাঁর আগ্রাসী মানসিকতা বরাবরই প্রতিপক্ষকে চাপে ফেলেছে। বাঁহাতি ব্যাটার হওয়ায় রোহিতের সঙ্গে তাঁর জুটি কৌশলগতভাবেও কার্যকর।

আর নিলাম থেকে মাত্র ১ কোটি রুপিতে কুইন্টন ডি কককে দলে ভিড়িয়ে প্রশংসার জোয়ারে ভাসছে মুম্বাইয়ের টিম ম্যানেজমেন্ট। আইপিএলে ১১৫ ম্যাচে ৩৩০০ এর বেশি রান করা এই উইকেটকিপার ব্যাটার যেন দক্ষতা ও অভিজ্ঞতার এক অনন্য সংমিশ্রণ।

ভারতের বিপক্ষে সাম্প্রতিক টি-টোয়েন্টিতে ১৮০ এর বেশি স্ট্রাইক রেটে রান করা ডি কক যে এখনও ভয়ংকর, তা বলাই বাহুল্য। তার ওপর রোহিতের সঙ্গে ২০১৯ ও ২০২০ এর সফল ওপেনিং জুটির স্মৃতি মুম্বাইকে বাড়তি আত্মবিশ্বাস দিবে। রোহিত শর্মাকে স্থায়ী করে অপর পাশে রিকেলটন কিংবা ডি কক যে কাউকেই প্রতিপক্ষ, কন্ডিশন ও পারফরম্যান্স এর উপর ভিত্তি করে বদলিয়ে খেলানোর পূর্ণ স্বাধীনতা আছে মুম্বাইয়ের।

রুতুরাজ গায়কড়ের প্রত্যাবর্তনে চেন্নাই এর ওপেনিং জুটি এখন আরও পাকাপোক্ত হয়েছে। ঘরোয়া ক্রিকেটে ধারাবাহিকতা, আর দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে ওডিআই সিরিজে তিন ইনিংসে ২১০ রান – এসবই বলে দেয় যে আবারও হলুদ জার্সি গায়ে মাঠ মাতাতে প্রস্তুত গায়কড়।

নিলামের আগে ট্রেডের মাধ্যমে সঞ্জু স্যামসনের আগমন চেন্নাইয়ের টপ অর্ডারে নতুন মাত্রা যোগ করেছে। ওপেনার হিসেবে ৩১ ইনিংসে ৭৮৩ রান করা সঞ্জু শুরু থেকেই বোলারদের ওপর চড়াও হতে পারেন।

আর আয়ুষ মাত্রে চেন্নাইয়ের ভবিষ্যতের প্রতিচ্ছবি। অভিষেক আইপিএলেই ৭ ইনিংসে ২৪০ রান, স্ট্রাইক রেট প্রায় ১৮৯। সৈয়দ মুস্তাক আলি ট্রফিতেও তার আত্মবিশ্বাসী ব্যাটিং প্রমাণ করে, বড় মঞ্চের চাপ সামলাতে তিনি প্রস্তুত।

চেন্নাইয়ের ওপেনিং কম্বিনেশনে ভারসাম্য থাকলেও, মুম্বাইয়ের মতো দীর্ঘদিন পরীক্ষিত আন্তর্জাতিক ওপেনিং জুটির অভিজ্ঞতা এখানে তুলনামূলক কম। তাই আসর শুরু হওয়ার আগে সামান্য হলেও পাল্লা ঝুঁকে আছে মুম্বাই ইন্ডিয়ান্সের দিকেই।

রোহিত শর্মার অপর প্রান্তে রিকেলটন বা ডি কক, যে কোনো জুটিতেই অভিজ্ঞতা ও বিস্ফোরক ব্যাটিংয়ের মিশেল পাওয়া যায়। বিশেষ করে রোহিত-ডি কক জুটির পুরোনো সাফল্য মুম্বাইকে বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে।

লেখক পরিচিতি

ক্রীড়াচর্চা হোক কাব্য-কথায়!

Share via
Copy link