চিরচেনা ডি কক তাণ্ডব

রাজস্থান রয়্যালসের বিপক্ষে প্রথম ম্যাচে মাত্র চার রান করে ফিরতে হয়েছিল প্যাভিলিয়নে, পরের ম্যাচে পাঞ্জাব কিংসের বিপক্ষে হাফসেঞ্চুরি করলেও বড় ইনিংস খেলার আক্ষেপ রয়ে গিয়েছিল বুকের গভীরে – সেই আক্ষেপ অবশ্য পূরণ করতে সময় নেননি কুইন্টন ডি কক। তৃতীয় ম্যাচে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালুরুর বিপক্ষে তাঁদের মাঠেই করেছেন ৫৬ বলে ৮১ রান।

আটটি চারের সাথে পাঁচটি বিশাল ছক্কার সাহায্যে এই ইনিংস সাজিয়েছেন তিনি। ওপেনিংয়ে নেমে প্রায় ১৪৫ স্ট্রাইক রেটে ব্যাটিং করেছেন, বাইশ গজে ছিলেন সতেরোতম ওভার পর্যন্ত। তাতেই বড় সংগ্রহের ভিত পেয়ে গিয়েছিল তাঁর দল লখনৌ সুপার জায়ান্টস।

এদিন শুরুই আগ্রাসী ছিলেন প্রোটিয়া উইকেটরক্ষক; প্রথম ওভারেই রিচ টপলিকে হাঁকিয়েছেন তিন তিনটি চার। এরপর মোহাম্মদ সিরাজের টানা দুই বলে দুই ছক্কা মেরে বুঝিয়ে দিয়েছেন দিনটা তাঁরই হতে যাচ্ছে। পাওয়ার প্লের মধ্যে ১৯ বল খেলার সুযোগ পেয়েছিলেন তিনি, করেছেন ৩২ রান।

 

অর্থাৎ ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের পূর্ণ ফায়দা তুলতে পেরেছেন এই ব্যাটার। আবার মাঝের ওভার গুলোতে স্ট্রাইক রোটেট করে স্কোরবোর্ড সচল রেখেছেন তিনি, বাজে বল পেলে বাউন্ডারিতে পাঠাতেও ভুল হয়নি তাঁর। শেষপর্যন্ত টপলির শিকার হয়ে থামতে হয়েছিল তাঁকে; আউট হওয়ার আগে অবশ্য নিজের কাজটা ঠিকঠাক শেষ করেছেন।

ওয়ানডে বিশ্বকাপে অবিশ্বাস্য ধারাবাহিকতা দেখিয়েছিলেন এই তারকা। ১০ ইনিংস খেলে করেছিলেন ৫৯৪ রান, তাঁর ব্যাটিং গড় ছিল ৫৯.৪ আর স্ট্রাইক রেট ১০৭.২! পুরো টুর্নামেন্ট জুড়ে কতটা বিধ্বংসী ফর্মে ছিলেন তিনি সেটি এই পরিসংখ্যানেই স্পষ্ট, তবু আন্তর্জাতিক ওয়ানডেকে বিদায় বলতে দুইবার ভাবতে হয়নি তাঁকে।

ফ্রাঞ্চাইজি ক্রিকেটে নিজের শতভাগ দিতেই এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছিলেন ডি কক; সেটাই করছেন তিনি। উদীয়মান রিয়ান পরাগের সঙ্গে নেমেছেন অরেঞ্জ ক্যাপ জেতার লড়াইয়ে। দূরত্বটা এখনো অনেক, তবে এই মুহূর্তে লড়াইয়ের শেষ দেখে ফেলাটা বোকামি। জাতীয় দলে ঢোকার আশায় থাকা রিয়ান নাকি জাতীয় দলকে বিদায় বলা ডি কক – টুর্নামেন্ট শেষে কে জিতবেন মর্যাদার এই স্মারক, সেটাই এখন কৌতূহলের বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link