রান বন্যার এনসিএল টি-টোয়েন্টিতে অবশেষে দেখা মিলছে বোলারদের দাপট। বরিশালের বিরুদ্ধে ঝড় তুলেছে সিলেটের পেসাররা। তোফায়েল আহমেদ, খালেদ আহমেদ, এবাদত হোসেনদের পেস তাণ্ডবে মাত্র ১০৮ রানেই গুটিয়ে যায় বরিশাল। লো স্কোরিং ম্যাচে দুই উইকেটের জয় তুলে নিয়েছে সিলেট।
বুধবার টস জিতে বোলিংয়ের সিদ্ধান্ত নেয় সিলেট। অধিনায়কের ভরশার প্রতিদান দিয়েছেন বোলররা। প্রথম ওভারেই অভিজ্ঞ আব্দুল মাজিদকে ফিরিয়ে দারুন সূচনা এনে দেন এবাদত। নিজের দ্বিতীয় ওভারে আবারও আঘাত হানেন এবাদত, মিড অফে ক্যাচ তুলে সাজঘরে ফেরেন ফজলে রাব্বি।
এরপরে দৃশ্যপটে আসেন তোফায়েল আর খালেদ। তিন পেসারের চাপে পড়ে নিয়মিত বিরতিতে উইকেট হারায় বরিশাল। এবাদত আর তোফায়েল নিয়েছেন তিনটি করে উইকেটে আর খালেদ নিয়েছেন একটি উইকেট। তিন পেসার আঁটসাঁট বোলিংয়ে নিয়েছেন সাতটি উইকেট।
যদিও ১০৯ রানের মামুলি টার্গেটটাই পাড়ি দিতে বেশ বেগ পেতে হয়েছে সিলেটকেও। ফর্মের তুঙ্গে থাকা জিসান আলমকে শুরুতেই ফিরিয়ে দেন রুয়েল মিয়া। রুয়েল আর কামরুল হাসান রাব্বিও পেসার হিসেবে তিনি ঝড় তুলতে পিছুপা হননি। ৫৬ রানেই সিলেটের পাঁচ উইকেট তুলে নিয়ে ম্যাচের মোড় প্রায় ঘুরিয়েই দিয়েছিলেন তারা।
তবে সিলেটকে জয়ের বন্দরে পৌছান অধিনায়ক মাহফুজুর রাব্বি। আগের ম্যাচেই ৩৯ বলে ৮২ রানের অপরাজিত ইনিংস খেলেও দলকে জেতাতে পারেননি তিনি। এক রানের তিক্ত হারই বরণ করতে হয়েছিল চট্টগ্রামের বিপক্ষে।
কিন্তু, এ ম্যাচে আর ট্রাজিক গল্প লিখতে দেননি তিনি। ১৮ রানের দায়িত্বশীল ইনিংস খেলে দলকে জিতিয়েই মাঠ ছেড়েছেন তিনি। বল হাতেও নিয়েছিলেন এক উইকেট। ‘প্রোপার অলরাউন্ডার’ হবার পথে বেশ জোরেসোরেই আগাচ্ছেন তিনি।
সব ছাপিয়ে কিন্তু সিলেটের পেসারদের সাফল্য আলাদা করে নজর কাড়ে। জাতীয় ক্রিকেট লিগেও পেসারদের নৈপুন্যে প্রথম শিরোপা জিতেছে তারা এবছর। ঘরোয়া ক্রিকেটে যেখানে স্পিনারদের জয়জয়কার সেখানে পেসারদের এমন উত্থানের কান্ডারি হিসেবে সিলেট দল বাহবা পেতেই পারে।
এনসিএল টি-টোয়েন্টি লিগ হয়ে উঠেছে বেশ চমকপ্রদ । পুরনো সেনানীদের ফেরার প্রচেষ্টা, পেসারদের ঝড় বা ব্যাটারদের রানের ফোয়ারা কিংবা মাহফুজুর রাব্বিদের মত তরুণ তুর্কীদের আগমনী বার্তা তো দেশের ক্রিকেটের জন্যই স্বস্তির বাতাস বয়ে আনছে।