বেদনার অতীত যেন সাড়া দিল অসময়ে। সম্প্রতি অস্ট্রেলিয়ার ওপেনিং ব্যাটার ডেভিড ওয়ার্নার তাঁর অতীতের বল টেম্পারিং নিয়ে এক মন্তব্য করে বসলেন। আর সেটাই খেলোয়াড়দের উপর প্রভাব ফেলতে পারে বলে মনে করেন অস্ট্রেলিয়ার বেশ কয়েকজন সাবেক ক্রিকেটার।
ওয়ার্নার তাঁদের সুপার এইটের ম্যাচকে সামনে রেখে এক সাক্ষাতকারে ২০১৮ সালের বল টেম্পারিংয়ের ঘটনা থেকে ফিরে আসার কথা উল্লেখ করেন। যেখানে তিনি মনে করেন সেই ঘটনাই সমস্ত সমালোচনার কারণ। যদিও এটা অনেকটা নিশ্চিত যে তিনি সেই ঘটনার কারণেই স্মৃতিতে থাকবেন।
৩৭ বছর বয়সী এই ক্রিকেটার তাঁর আন্তর্জাতিক ক্যারিয়ার শেষ করেবেন অপমানের বোঝা মাথায় নিয়েই। তবে শুধু যে ওয়ার্নারই সেই কেলেঙ্কারীর জন্য দায়ী তা নয়, সেখানে দায়ভার এড়াতে পারেননা স্টিভ স্মিথ যিনি কিনা এক বছরের জন্য নিষেধাজ্ঞায় পড়েছিলেন। আবার ক্যামেরুন ব্যানক্রফটও নয় মাসের জন্য ছিলেন মাঠের বাইরে।
তবে সাবেক অজি তারকা মাইকেল ক্লার্ক বলেন, ‘আমি বুঝছি সে (ডেভিড ওয়ার্নার) কোন পরিস্থিতি থেকে এসেছে। সে যা বলেছে তা সত্য। তবে আমার মনে হয় না, এই সময়ে এসব নিয়ে কথা বলা উচিত। সব দোষ তাঁর উপর চাপানোও ঠিক হবে না। কেননা, সেখানে স্টিভ স্মিথ ক্যামেরুন ব্যানক্রফটও সমানভাবে দায়ী ছিল। স্মিথ সেজন্য তাঁর অধিনায়কত্বও হারিয়েছিল।’
ক্লার্ক স্বীকার করেন যে, ওয়ার্নারের এই ঘটনা ইতিহাসে কলঙ্কের অধ্যায়ে লিপিবদ্ধ থাকবে ঠিকই। তবে এই অজি ওপেনারকে দেশের জন্য তাঁর অবদানগুলোও স্মরণে রাখা প্রয়োজণ। যদি অস্ট্রেলিয়া এবার টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ জিতে যায়, তবে প্যাট কামিন্স, ট্রাভিস হেড আর মিচেল স্ট্রার্কের সাথে চতুর্থ ক্রিকেটার হিসেবে তিন ফরম্যাটে তিন ফাইনাল খেলার অভিজ্ঞতা লাভ করবে।’
ওয়ার্নারের এই ঘটনা নিয়ে সাবেক অজি অধিনায়ক আরো বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি সে (ডেভিড ওয়ার্নার) অস্ট্রেলিয়ার সেরা খেলোয়াড়দের একজন হয়েই স্মরণে থাকবেন। তবে অপ্রিয় হলেও সত্য যে তাঁর এই কেলেঙ্কারীর ঘটনাটি আরো ১০-২০ বছর পর্যন্ত আলোচনার বিষয় হয়েই থাকবে।’
ক্লার্কের সাথে সুর মিলিয়ে আরেক অজি তারকা অ্যারন ফিঞ্চও বলেন, ‘ক্লার্ক যেমনটা বলেছেন, তা ঠিক। এই সময়ে অতীতের ঘটনা নিয়ে ওয়ার্নারের কোনো মন্তব্য করা উচিত নয়।’
চলমান বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ফর্মে আছে টিম অস্ট্রেলিয়া। গ্রুপ পর্বের শীর্ষে থেকে সুপার এইটে প্রবেশ করে তাঁরা। আর সেজন্যেই হয়তো ছোট ছোট মন্তব্য বেশ প্রভাব ফেলতে পারে দলে। তাইতো একটু বাড়তি সতর্ক থাকতে চাইছেন অজিরা।