শক্তিমত্তা বিবেচনায় ওয়ানডের তুলনায় টি-টোয়েন্টিতে বোধহয় পাকিস্তানের পায়ের নিচের মাটি একটু বেশি শক্ত। তাই তো গত ওয়ানডে বিশ্বকাপে ভরাডুবির পরেও আসন্ন টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপ নিয়ে প্রত্যাশার কমতি নেই তাঁদের। সমর্থক থেকে ক্রিকেটার প্রত্যেকেই স্বপ্ন দেখছেন দারুণ কিছু করার, তবে মোহাম্মদ হাফিজ এক্ষেত্রে যেন ব্যতিক্রম।
সবাই বাবর আজমদের নিয়ে আশা করলেও তাঁর কণ্ঠে শঙ্কার গান৷ তিনি মনে করেন বাস্তবতা বিবেচনায় পাকিস্তান এখনো যোজন যোজন পিছিয়ে আছে অন্য দেশগুলোর তুলনায়। সেজন্য বিশ্ব মঞ্চে কঠিন পরীক্ষা দিতে হবে পাকিস্তানকে।
সাবেক এই ক্রিকেটার বলেন, ‘দেখুন একজন পাকিস্তানি হিসেবে আমার হৃদয় সব সময় পাকিস্তানের পক্ষে থাকবে, তাঁদের পারফরম্যান্স যাই হোক না কেন। তবে, বাস্তবতা বিবেচনা করে, আমার মনে হচ্ছে পাকিস্তান এবারও সংগ্রাম করবে।’
এর কারণ হিসেবে দল হয়ে উঠতে না পারাকেই দায়ী করেছেন তিনি। তাঁর মতে, স্কোয়াডে কার কি ভূমিকা সেটা কেউই স্পষ্টভাবে জানে না। এর ফলে মানসিকভাবে খেলোয়াড়রা পিছিয়ে পড়েছে। এই কিংবদন্তি অলরাউন্ডার বলেন, পিছিয়ে থাকার একমাত্র কারণ সঠিকভাবে দল গঠন করা হয়নি এবং ক্রিকেটাররা মানসিক ভাবে প্রস্তুত নয়। এছাড়া তাঁদের ভূমিকা এখনো নির্দিষ্ট করা হয়নি।’
নিউজিল্যান্ডের দ্বিতীয় সারির দলের বিপক্ষে যেভাবে খেলেছে পাকিস্তান সেটার কড়া সমালোচনা করে তিনি আরো বলেন, ‘নিউজিল্যান্ড সিরিজে ২-২ ফলাফল মোটেই প্রত্যাশিত ছিল না। পাকিস্তান কিন্তু পূর্ণ শক্তির দল নিয়েই খেলেছিল তাই এটা মেনে নেয়া কঠিন। দর্শকদের প্রত্যাশা পূরণ করতে ব্যর্থ হয়েছে তাঁরা।’
সবশেষে শাহীন শাহ, মোহাম্মদ রিজওয়ানদের সামর্থ্য আর পারফরম্যান্সের পার্থক্য তুলে ধরেন হাফিজ। তিনি বলেন, আমাদের দলের ভান্ডারে কিন্তু সব ধরনের অস্ত্র আছে। অথচ দুর্ভাগ্যবশত যে মানসিকতা, শরীরী ভাষা পাকিস্তানের অর্জন করা উচিত ছিল, সেটি অর্জিত হয়নি।’