চোখ ধাঁধানো কাট শটে শিরোপার পাদদেশে পাকিস্তানের নাম লেখালেন বাবর আজম। বাদশাহ বাবর ফেরার সাথে সাথে তিনি যেন জয়ের ভাগ্যও নিয়ে ফিরেছেন। ত্রিদেশীয় টি-টোয়েন্টি সিরিজে দাপট দেখিয়ে চ্যাম্পিয়ন হয়েছে পাকিস্তান। ফাইনালে শ্রীলঙ্কাকে ছয় উইকেটে হারিয়েছে স্বাগতিকরা। এছাড়াও এক পঞ্জিকাবর্ষে সর্বোচ্চ টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়ের রেকর্ডও গড়েছে পাকিস্তান।
ফাইনালে ওঠার পথে চার ম্যাচের তিনটিই জিতেছিল পাকিস্তান। স্বাভাবিকভাবে ঘরের মাঠে তারাই ছিল সুসজ্জিত ট্রফির দাবিদার। টসে হেরে প্রথমে ব্যাটিং করতে নামে শ্রীলঙ্কা। সবকিছুই চলছিল ঠিকঠাক। দশ ওভারে লঙ্কানদের স্কোরবোর্ডে এক উইকেটে এক উইকেটের বিনিময়ে ৮১ রান।
কিন্তু মুহূর্তের মধ্যে সব দৃশ্যপট ওলট-পালোট হয়ে গেল। মোহাম্মদ নাওয়াজ, আবরার আহমেদ ও সাইম আইয়ুব- পাকিস্তানি তিন স্পিনারের ঘূর্ণিতে এলোমেলো শ্রীলঙ্কার ব্যাটিং অর্ডার। পরবর্তী ৩৩ রানে নয় উইকেট হারিয়ে স্রেফ ১১৪ রানেই গুটিয়ে যায় দাসুন শানাকার দল।

এত স্বল্প রান ডিফেন্ড করা ভীষণ কষ্টকর। আর সেই কষ্টের পথটাকে পাকিস্তানের ব্যাটাররা। বিশেষ করে বাবর আজম। একটা প্রান্ত আগলে রেখে তিনি দলকে নিয়ে গেছেন জয়ের বন্দরের দিকে। ৩৩ বলে ৩৭ রানে অপরাজিত থেকেছেন পাকিস্তানের তারকা ব্যাটার। এদিন অবশ্য স্ট্রাইকরেটের আলোচনা বড্ড বেশি অনর্থক।
স্রেফ ১১৫ রানের লক্ষ্যে খুব বেশি আগ্রাসী হওয়ার প্রয়োজন কি আর আছে? বাবর জানেন, এত ছোট লক্ষ্যে ভুল হওয়ার সম্ভাবনা বেশি থাকে। সেই ভুলের পথে পাকিস্তানকে ঠেলে দেওয়ার একটা চেষ্টা অবশ্য পাভান রত্নানায়েকে করেছেন বটে। আঘা সালমান ও ফখর জামানের উইকেট তুলে নিয়ে।
কিন্তু বাবর দৃঢ়তার সাথে, দক্ষ নাবিকের বেশে পাকিস্তানের তরীকে ভিড়িয়েছেন জয়ের বন্দরে। ফাইনালের আগে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে পরাজয়, পাকিস্তানের মনে কিঞ্চিৎ হলেও ধরিয়েছিল ভয়। কিন্তু সব শঙ্কা-ভয়কে পেছনে ফেলে জয় তুলে নিয়েছে পাকিস্তান। চলতি বছরে এটি পাকিস্তানের ২১তম টি-টোয়েন্টি ম্যাচ জয়। এর আগে ২০২১ সালে সর্বোচ্চ ২০টি ম্যাচ জিতেছিল তারা।












