ব্যাটিং-বোলিং সবখানেই ব্যর্থ পাকিস্তান

ডালাসে গ্রুপ পর্বে নিজেদের প্রথম ম্যাচে যুক্তরাষ্ট্রের বিপক্ষে সুপার ওভারে হারে পাকিস্তান। দু’বছর আগে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ফাইনালে খেলা দলের জন্য যা অপ্রত্যাশিতই ছিল। রবিবার চিরপ্রতিদ্বন্দ্বী ভারতের সাথে ম্যাচের আগে এমন হার বেশ অপ্রীতিকর ছিল পাকিস্তানের খেলোয়াড়দের জন্য।

পাওয়ার-প্লের শুরুতেই খেই হারিয়ে ম্যাচে পেছনে পড়ে যায় পাকিস্তান। মোহাম্মদ রিজওয়ান ও ফখর জামান দুইজনই ছক্কা মেরে নিজেদের ইনিংস শুরু করলেও দ্রুত সাজঘরে ফেরত যান। তাদের মধ্যে উসমান খানও মাত্র তিন রানে বিদায় নেন। বিশ্বকাপে শুরুর আগে থেকে মিডিল অর্ডার সমস্যায় ভুগছিল পাকিস্তান। যার ফলে বোলিং অলরাউন্ডার শাদাব খানকে পাঁচ নম্বরে পাঠায় পাকিস্তান। তাঁদের সম্মান রক্ষা হলেও ম্যাচ বাঁচাতে পারেনি পাকিস্তান।

পরাজয়ের পর বাবর বলেন, ‘সত্যি বলতে আপনি যখনই কোনো ম্যাচে হেরে যান, তখন তা মন খারাপের কারণ হয়। আমরা তিনিটি বিভাগেই ভাল খেলতে পারিনি। প্রথম ছয় ওভার আমরা সঠিকভাবে কাজে লাগাতে পারিনি ৷ দশ ওভারের পর আমরা ম্যাচে গতি পাই তবে আবারও উইকেট হারানোর ফলে আমরা তা হারিয়ে ফেলি।’

ম্যাচ সম্পর্কে তিনি আরও বলেন, ‘প্রথম ছয় ওভারে বল সুইং করছিল ও থেমে থেমে আসছিল। কিন্তু পরে আমি অনুভব করিনি যে এটি ভিন্ন উইকেট ছিল। প্রথম দিকে সকালের ম্যাচগুলিতে ফাস্ট বোলররা অবশ্যই একটু সাহায্য পাবে। তারা সেটাকেই কাজে লাগিয়ে তাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করেছে। শুরুতে ব্যাট করা কঠিন ছিল তবে আমরা তা পুষিয়ে নিয়েছিলাম। আমার মনে হয় মাঝের ওভারগুলিতে উইকেট হারিয়ে ম্যাচের মোড় ঘুরে যায়। তারা ভাল খেলেছে তবে আমি মনে করি আমরা খারাপ খেলেছি।’

আইসিসি ইভেন্টগুলোতে পাকিস্তানের শক্তির জায়গা তাদের বোলিং। তবে বল হাতেও অস্বস্তিতে পড়েছিলেন তারা। এই বিষয়ে বাবর বলেন, ‘এমনকি দ্বিতীয় ইনিংসেও আমি মনে করি আমরা পিচ থেকে সাহায্য পেয়েছি। তবে আমাদের বোলররা তা কাজে লাগাতে পারেনি। আমাদের বোলারদের বিবেচনায় এই পিচে আমাদের স্কোরটি ডিফেন্ড করা উচিত ছিল।’

বোলিং নিয়ে বাবর আরও বলেন, ‘বোলিংয়ে আমরা তাদের থেকে ভাল। প্রথম ছয় ওভারে আমরা উইকেট পাইনি। দশ ওভার পর আমরা ফিরে এসেছি তবে তা দেরি হয়ে গিয়েছিল। সুপার ওভারে তারা যেভাবে খেলা শেষ করেছে, সেটার কৃতিত্ব যুক্তরাষ্ট্রকেই দিতে হবে।’

এমন অপ্রত্যাশিত হার পাকিস্তান দলের জন্য নতুন নয়। অস্ট্রেলিয়ায় শেষ বিশ্বকাপে জিম্বাবুয়ের কাছে তারা একটি ম্যাচ হেরেছিল। এমন পরাজয়ে বাবার আরও বলেন, ‘আপনি সর্বদা সেরা প্রস্তুতি নিয়ে বিশ্বকাপে আসেন। আপনি যদি কোনো দলের বিরুদ্ধে আপনার পরিকল্পনা বাস্তবায়ন না করেন, তাহলে যে দলই হোক না কেন আপনাকে তারা হারাতে সক্ষম। আমরা দল হিসেবে আমাদের পরিকল্পনা বাস্তবায়ন করতে পারিনি।’

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link