Social Media

Light
Dark

বাবর-রিজওয়ান, পাকিস্তানের ভরসার মেঘ বরষা

ইনিংস উদ্বোধন করতে নামছেন বাবর আজম আর মোহাম্মদ রিজওয়ান – টি-টোয়েন্টিতে বহুপরিচিত দৃশ্যটা আরো একবার দেখলো ক্রিকেট বিশ্ব। বহুদিনের বিরতি শেষে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে চতুর্থ টি-টোয়েন্টিতে এই জুটি দেখা গেলো ওপেনিংয়ে।

ads

গত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের পর থেকে টিম ম্যানেজম্যান্ট অনেক চেষ্টা করেছে পরিবর্তন আনার জন্য, তবে কোন কিছু কাজে না লাগায় আবারো পুরনো ট্যাকটিক্সে ফিরতে হলো।

অবশ্য প্রত্যাবর্তনটা রাঙিয়ে রাখতে পেরেছেন এই তারকা জুটি। পাওয়ার প্লের পুরোটা সময় উইকেটে ছিলেন তাঁরা, আর স্কোরবোর্ডে যোগ করেছেন ৫৯ রান। এর মধ্যে পাক অধিনায়কের ব্যাট থেকে এসেছিল ২২ বলে ৩৬ রান এবং তাঁর সঙ্গী করেছিলেন ১৪ বলে ২২।

ads

তবে সংখ্যা নয়, এই দুই ব্যাটারের মানসিকতা চোখে পড়েছে এদিন। অতীতের মত খুব বেশি দেখেশুনে খেলার চেষ্টা করেননি; জোফ্রা আর্চার, ক্রিস জর্দানদের বিপক্ষে সাবলীল ব্যাটিংটাই করেছেন, ফিল্ড রেস্ট্রিকশনের ফায়দা নিয়েছেন নিয়মিত বাউন্ডারি হাঁকিয়ে। তাই তো পাকিস্তানও পেয়েছে আকাঙ্খিত সূচনা।

বাবর আর রিজওয়ান, টি-টোয়েন্টিতে তাঁদের ধারাবাহিকতা নিয়ে প্রশ্ন নেই। নিয়মিত রান করেন তাঁরা, বড় ইনিংসও খেলতে জানেন। কিন্তু সমস্যা লুকিয়ে আছে ব্যাটিং অ্যাপ্রোচে, তাঁরা দু’জনেই অ্যাঙ্করের ভূমিকা পালন করতে পছন্দ করেন। শুরুতে বুঝেশুনে খেলে তারপর রান তোলার গতি বাড়ান।

স্বাভাবিকভাবেই এই দুই ডানহাতি ওপেন করলে পাওয়ার প্লের সদ্ব্যবহার সম্ভব হয় না। সেজন্যই সায়িম আইয়ুবের মত হার্ড হিটার ব্যাটারকে সুযোগ দেয়া হয়েছিল ওপেনিংয়ে, প্রত্যাশা ছিল দলকে উড়ন্ত সূচনা এনে দিবেন তিনি। বড় রান নয় বরং তাঁর ব্যাটে ঝড় দেখতে চেয়েছিল সবাই। তবে সেসব স্বপ্নের কিছুই পূরণ হয়নি তাঁকে দিয়ে।

তাই তো একরকম বাধ্য হয়েই দুই তারকাকে আবারও ফিরিয়ে আনতে হয়েছে। যদিও পূর্বের তুলনায় অ্যাপ্রোচ আর ইন্টেন্টে বদল এনেছেন তাঁরা, রক্ষণশীল না হয়ে প্রথম থেকেই দ্রুত গতিতে রান তোলার দিকে মনোযোগ ছিল তাঁদের।

টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপেও হয়তো বাবর-রিজু ওপেনার হিসেবে খেলবেন, সেক্ষেত্রে আধুনিক টি-টোয়েন্টির সাথে মানানসই স্টাইলেই খেলবেন কি না তাঁরা সেটাই এখন দেখার বিষয়।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

Share via
Copy link